কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্ট জানাল, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর। আদালতের নির্দেশ মানা হয়নি। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভুক্তভোগী হতে হয়েছে। মুখ্যসচিব, আইজি, ডিআইজির বিএসএফের আইজির সঙ্গে বৈঠকে বসা উচিত। ২৪ জুলাই নির্বাচন কমিশনকে জবাব দিতে হবে। ২৬ তারিখ শুনানি হবে। ততদিন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। এরপরেও যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার প্রয়োজন হয় রাজ্য সরকারের উচিত খরচ বহন করা। বুধবার একটি মামলার প্রেক্ষিতে এমনই জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
মামলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বিএসএফের আইজির দায়ের করা হলফনামায় বলা হয়েছে, বাহিনী ব্যবহার নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অসংলগ্ন ব্যবহার দেখা গিয়েছে। ভোটের দিন ভোর পৌনে ২টো নাগাদ হঠাৎ বাহিনী চাওয়া হয়। ভোটের দিন জানা যায় স্পর্শকাতর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নেই। তার বদলে অন্য জায়গায় বাহিনী মোতায়েন আছে। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই কমিশনকে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছিল। লে থেকে ৫ কোম্পানি আইটিবিপি (ITBP) ৬ তারিখ নিয়ে আসা হয়েছে এয়ার লিফট করে। ৭ তারিখ তারা পৌঁছে যায় বীরভূমে। ভোটের দিন তাদের স্ট্রং রুমের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়। তাদের সঙ্গে ডিআইজি আইটিবিপি (DIG ITBP) ছিলেন। দিল্লিতে আইজি সিআরপিএফের (CRPF) কাছে ২১টি ঘটনার অভিযোগ জমা পড়েছিল। বিএসএফ এর (BSF) নিয়ন্ত্রণে তিনটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছিল। ১৫টি ঘটনার অভিযোগ আসে কন্ট্রোল রুমে। কমিশন প্রায় ৩০০টি অভিযোগ পেয়েছে নানান ঘটনা নিয়ে।
আরও পড়ুন: Calcutta High court | ধর্ষণ মামলায় সাময়িক স্বস্তি নওশাদের
নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী জানিয়েছেন, ফল প্রকাশের পরে কমিশনের ডিউটি শেষ। প্রধান বিচারপতি বলেন, এই ইস্যুতে আপনাদের দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।