কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) ফলাফল (Result) ঘোষণার পর ১০ দিন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, আদালত মনে করছে ভোট পরবর্তী হিংসার (Violence) সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা থেকে তাই আদালত নির্দেশ দিচ্ছে, ফলাফল ঘোষণার ১০ দিন পর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) মোতায়েন থাকবে। বৃহস্পতিবার শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) দায়ের করা আদালত অবমাননার মামলাতে এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিন আদালত নির্দেশ দিয়েছে, বাহিনী কিভাবে মোতায়েন হবে তার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন আইজি বিএসএফ, রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। বাহিনী মোতায়েনের বিষয় আইজি বিএসএফ, কমিশন ও পুলিশ সমন্বয় সাধন করে মোতায়েন করবে। এই বিষয় আদালত হস্তক্ষেপ করবে না। বাতিল ব্যালটে প্রিসাইডিং অফিসারকে স্বাক্ষর করতে হবে। এদিন ওই মামলায় প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, কোথাও থেকে যেন কোন অভিযোগ না আসে তার জন্য সব চেষ্টা করতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। আদালত আশা করবে ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট শান্তিপূর্ন হবে এবং সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | Central Force | রাজ্যে আসছে বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী
কেন্দ্রীয় সরকারের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল বলেন, পুরো কেন্দ্রীয় বাহিনী ৮ তারিখের আগে আসতে একটু সমস্যা হচ্ছে। ৮০ শতাংশ চলে আসবে। বারবার অনুরোধ করার পরে ৪ জুলাই রাত ৯ টায় আমাদের জেলাভিত্তিক বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা জানানো হয়েছে। সব ফোর্সকে এই রাজ্যের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আনতে হয়। তারপর প্রয়োজন মতো এলাকায় পাঠানো হয়। আমরা রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানকে পরিবহনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, কেন্দ্রের রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে অসম, বিহার, অরুণাচল, ছত্তিশগঢ়, গোয়া-সহ সমগ্র ভারত থেকে বাহিনী আনা হচ্ছে। এই বিষয়ে শুভেন্দুর আইনজীবী গুরু কৃষ্ণ কুমার বলেন, ২০১৩-র মডেলই ঠিক ছিল, তাহলে এত সমস্যা হত না। ব্যালট বাক্স পৌঁছে গিয়েছে। এমন অবস্থায় তা বিকৃত করার সম্ভাবনা থাকছে। কমিশনের আইনজীবী জিষ্ণু সাহা বলেন, গণনা ব্লক অনুযায়ী একটি ‘সেন্ট্রাল’ জায়গায় হবে। গণনা সকাল ৮টায় শুরু হয়। একদিনে হয়ে যায়। গুরু কৃষ্ণ কুমার বলেন, গণনা কেন্দ্রে বাহিনী মোতায়েনের দরকার। পূর্ববর্তী ঘটনা থেকে বলছি। গণনা শেষের দু’সপ্তাহ পর পর্যন্ত সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। আগের নির্বাচনী পরবর্তী হিংসা হয়েছে। বাহিনী রাখা উচিত। এটা আমাদের আবেদন। ভোটের দিনেও গন্ডগোলের আশঙ্কা আছে। সেই কারণে বাহিনী গোটা রাজ্যে প্রয়োজন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ভোটের গণনার পর জয়ীরা মিছিল করবে। গন্ডগোল হতে পারে। একই সঙ্গে কমিশন ও বিবেচনা করে দেখতে পারে কোন কোন জেলা স্পর্শকাতর। সেখানে কতটা নজর দেওয়া দরকার। জিষনু বলেন, প্রতি জেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম আছে যেটা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকছে। সব বাহিনী এলেও ৫০:৫০ হারে বাহিনী মোতায়েন করলে ১:১ হবে। সেটা আইজি বলতে পারবেন কী ভাবে বুথ রক্ষা হবে। মোবাইল ইউনিট বেশি কার্যকর এই মুহূর্তে। যারা কম পক্ষে ৬টি ভোট কেন্দ্রে নজর রাখতে পারবেন। স্পর্শকাতর বুথে যদি এখন বাহিনী মোতায়েন করা হয় তাহলে অনেক বুথে বাহিনী থাকবে না।