কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি জায়গায় বুধবার বসানো হতে পারে সিসি ক্যামেরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানিয়েছেন, “সর্বপ্রথম হস্টেলগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসবে। সব কাজ একবারে হয়ে যাবে এটা ভাবার কোন কারণ নেই। আমি আলিফ লায়লার মতো তুরি মেরে একবারে সবকিছু করে দেব, এটা ভাবাটাও ভুল।”
যাদবপুর-কাণ্ডের আঁচ পড়েছে প্রায় সর্বত্র। বিধানসভা থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে এখন একমাত্র আলোচ্য বিষয় যাদবপুরে পড়ুয়াদের বিশৃঙ্খলা। প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু ঘটনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দের ছাত্র সংগঠনগুলো উঠে পড়ে লেগেছে। একদিকে যখন টিএমসিপি-র দাবি সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে। অন্যদিক এসএফআই বলছে, সিসিটিভি নিরাপত্তার একটি মাধ্যম মাত্র। নিরাপত্তার জন্যে যদি সিসিটিভি দরকার হয় সেটা করতে হবে। তবে সিসিটিভি ইনস্টলেশনের আগে ছাত্র-ছাত্রীদের সিদ্ধান্ত জানতে হবে। পড়ুয়াদের সম্মতি ছাড়া ক্যাম্পাসের ভিতর সিসি ক্যামেরা লাগানো যাবে না। এই দাবিতে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন আবারও পথে নামছে আজ।
আরও পড়ুন: আবগারি দুর্নীতি মামলায় অর্থমন্ত্রীর বাড়িতে হানা ইডির
অন্যদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি র্যা গিং সেলের কী ভূমিকা ছিল? রাজ্য সরকারও দায় এড়াতে পারে না। সিসিটিভি কেন লাগানো ছিল না? ইউজিসির নিয়ম মানতে বাধ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বামপন্থ ও অতি বামপন্থীরাই সিসিটিভ লাগাতে বাধা দিচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কেন বহিরাগতদের আখড়া হয়ে উঠেছে। এমনই মন্তব্য করছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। এই বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, রাজ্যে একটি পাঁচতারা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। সেটাও আর থাকবে না। কাদের আমলে ক্যাম্পাসে নেশার বাড়ন্ত দেখতে হবে। এই বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের অবশ্য মন্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে শিক্ষা ক্ষেত্র কোথায় থেকে কোথায় গিয়েছে। রাজ্য সরকারকে পুরস্কৃত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।