কলকাতা: এবার তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের নামে ১৬. ৯৭ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিটের সন্ধান পেল সিবিআই৷ এই বিপুল পরিমাণ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷ এত টাকার উৎস কী, সেই প্রশ্ন এখন ভাবাচ্ছে সিবিআইকে৷ তারা এব্যাপারে ইডির সঙ্গেও কথা বলতে চায়৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আশঙ্কা, তদন্ত চলাকালীন আরও বিপুল পরিমাণ টাকার হদিশ মিলবে৷ ইতিমধ্যেই অনুব্রত এবং তাঁর স্ত্রী, মেয়ে ছাড়াও দু-একজন ঘনিষ্ঠের নামে প্রচুর সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে৷ তা দেখে অবাক তদন্তকারী সংস্থা৷
বুধবার সকালেই সিবিআই অফিসাররা বোলপুরের পূর্বপল্লি গেস্ট হাউসে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনুব্রতর ব্যক্তিগত হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে৷ তাঁকে প্রায় দেড়ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ খোঁজ খবর নেওয়া হয় অনুব্রত ও তাঁর মেয়ে সুকন্যার বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়ে৷ সেই সূত্রেই দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পদস্থ অফিসারদের গেস্ট হাউসে তলব করেন সিবিআই অফিসাররা৷ খোঁজ খবর নেওয়া হয় সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতেও৷ বিকালে সিবিআই জানায় ১৬ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের নামে৷ গরু পাচারের টাকাই বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে রাখা হয়েছে কি না, সিবিআই তা খতিয়ে দেখছে৷
এর আগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী হিসেবে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে৷ সেই তল্লাশি অভিযান অবশ্য চালায় ইডি৷ নগদ টাকা ছাড়াও বেশ কয়েক কোটি টাকা মূল্যের সোনার গয়নাও মিলেছে ওই দুই ফ্ল্যাট থেকে৷ পাশাপাশি ইডি তদন্ত চালিয়ে ওই দু’জনের নামে বহু সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে৷ সে সম্পত্তি ছড়িয়ে রয়েছে কলকাতা ছাড়াও দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম প্রভৃতি জেলাতেও৷ এই তদন্ত চলাকালীন ফের সামনে এল বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা এবং জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের প্রায় ১৭ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিটের বিষয়টি৷ যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা৷