কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: মদন তামাং খুনের মামলা থেকে প্রায় ৪ বছর আগে বিমল গুরুংকে রেহাই দেয় নিম্ন আদালত। এবার নিম্ন আদালতের সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল সিবিআই। পাশাপাশি হাইকোর্টে একই আবেদন করেছেন মৃত অখিল ভারতীয় গোর্খা লীগ নেতা মদনের স্ত্রী ভারতী তামাংও। শুক্রবার এই দুটি মামলাই শুনানির জন্য ওঠে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে ওই মামলা দুটি শুনবেন না বলে জানিয়ে দেন তিনি। যারফলে মামলাটি হস্তান্তরিত করা হয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কাছে।
আরও পড়ুন: উপনির্বাচনের পরেই সম্ভবত মধুচন্দ্রিমা শেষ, রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোট ‘বিশ বাঁও জলে’
উল্লেখ্য, দার্জিলিঙে ক্লাব সাইট রোডে ২০১০ সালে ২১ মে খুন হন মদন তামাং। সেই ঘটনায় বিমল গুরুং সহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ ছিল, মদন তামাংকে হত্যার আগে চন্দ্রমান ধুরা এলাকায় নিজের ঘনিষ্ঠদের নিয়ে এক বৈঠক করেন বিমল গুরুং। সেই বৈঠকেই মদনকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা হয় বলে অভিযোগ।
সেই ঘটনায় ২২ জনকে পলাতক দেখিয়ে চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। পরে এই মামলায় তদন্তের দায়িত্ব পায় সিবিআই। সিবিআইও অভিযুক্ত করে বিমলকে। কিন্তু গত ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর ওই মামলা থেকে গুরুংকে অব্যাহতি দেয় কলকাতা নগর দায়রা আদালত।
এই মামলায় সিবিআই এর তরফ আইনজীবী অনির্বাণ মিত্র বলেন, ‘’ বিমল গুরুং এর ওই ঘটনায় জড়িত থাকার পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে। তাই নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।‘’
নিম্ন আদালতের রায়ের চার বছর পর বিমল গুরুংকে নিয়ে ফের নতুন করে এই মামলা সাজাল সিবিআই। সেই ঘটনাক্রম নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্ক কষার অভিযোগ উঠেছে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: বিনয় তামাঙের সঙ্গে তাঁর বৈঠক সম্পূর্ণ ‘অরাজনৈতিক’, দাবি গুরুঙের
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতবছর দূর্গা পুজোর আগেই বিজেপির শিবির থেকে তৃণমূল শিবিরে ঢুকে পড়েছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং। এছাড়াও সম্প্রতিই একদা তাঁর ঘোষিত শত্রু জিটিএ চেয়ারম্যান বিনয় তামাং এর সঙ্গেও বৈঠক করেন বিমল। এই অবস্থায় রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা থেকে বিমল গুরুংকে বিজেপি চাপে রাখতে চাইছে কিনা, উঠছে সেই প্রশ্নই।