কলকাতা: বৃহস্পতিবার ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার খুন, রহস্য মৃত্যু ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। ভার গ্রহণের পর সিবিআই চারটি বিশেষ দল গঠন করেছে৷ প্রতিটি দলের নেতৃত্বে থাকবেন সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার অফিসাররা৷ তাঁদের সঙ্গে তদন্তে সহযোগিতা করবেন অতিরিক্ত ডিরেক্টররা৷ সূত্র্রের খবর, প্রতিটি দলে দুই ডজন করে অফিসার থাকবেন৷ সব মিলিয়ে ৯৬ জন অফিসার ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তে থাকছেন৷
আরও পড়ুন- চতুর্থ স্তম্ভ: আহা গণতন্ত্র, বাহা গণতন্ত্র(19/08/21)
সূত্রের খবর, বাকি ভাঙচুর করা, মারধর করা, আগুন লাগানো, ঘরছাড়া করার মতো অপেক্ষাকৃত কম অশান্তির ঘটনায় সিট গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তিন আইপিএস আধিকারিক সুমন বালা শাউ , সৌমেন মিত্র এবং রণবীর কুমারের নেতৃত্বে গঠিত হবে সিট।
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যকে অতিরিক্ত হলফনামার নির্দেশ আদালতের
এছাড়াও যে সমস্ত অভিযোগ এখনও পর্যন্ত জমা নেওয়া হয়নি এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে অভিযোগগুলো পায়নি সেই সমস্ত অভিযোগের তদন্তও করবে সিট। সমস্ত তদন্তই হবে আদালতের নজরদারিতে। ৬ সপ্তাহের মধ্যে সিট এবং সিবিআই দুই সংস্থাকেই তদন্তের রিপোর্ট জমা করতে হবে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে।
আরও পড়ুন-মার্কিন বিমান থেকে খসে পড়ে মৃত্যু তরুণ আফগান ফুটবলারের
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপর হামলা হয় যাদবপুরে। ছোঁড়া হয় ইট, পাটকেল। সেইদিন দায়িত্বে থাকা আইপিএস রশিদ মনির খানের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলবে। তদন্ত করবে সিট এবং সিবিআই দুই তদন্তকারী সংস্থাই। এছাড়াও ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্যকে। ভোট পরবর্তী হিংসায় যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের ক্ষতিপূরণ ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
গত ৩ অগস্ট এই ভোট পরবর্তী মামলার শুনান হয়েছিল হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বে। তবে, বিজেপির তরফে প্রথম থেকেই পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছিল। এরপর মানবাধিকার কমিশনকে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে রিপোর্ট তৈরি করে হাইকোর্টে জমা দিতে। তবে, রাজ্য সরকার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছিল। যদিও বৃহস্পতিবার তা ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।