কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (SSC Scam) এবার সিবিআইয়ের (CBI) জালে গাজিয়াবাদের (Ghaziabad) বেসরকারি সংস্থার এক পদস্থ কর্তা। সিবিআই সূত্রের খবর, ধৃতের নাম নীলাদ্রি দাস। তিনি নাইসা (Nayassa) নামে ওই সংস্থার বড় কর্তা। সিবিআই তদন্তে নেমে জানতে পারে, ওই সংস্থাটি ওএমআরও শিট পুনর্মূল্যায়নের বরাত পেয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে। এর আগে বেশ কয়েক দফায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নীলাদ্রিকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। শুক্রবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
ওএমআর শিট বিকৃত করার বিষয়টি সিবিআই সূত্রেই সামনে আসে। আদালতে প্রশ্ন ওঠে, কেন গাজিয়াবাদের ওই বেসরকারি সংস্থাকে ওএমআর শিট পুনর্মূল্যায়নের বরাত দেওয়া হয়েছিল। আদালতের নির্দেশেই সিবিআই গাজিয়াবাদে উড়ে গিয়েছিল তদন্ত করতে। সেখানে গিয়ে তারা বিস্তর অনিয়মের কথা জানতে পারে। ওই সংস্থার সার্ভারে এবং বিধাননগরে স্কুল সার্ভিস কমিশনের সার্ভারে চাকরিপ্রার্থীদের নম্বরের বিস্তর হেরফের ধরা পড়ে। কোথাও যোগ্য প্রার্থীদের নম্বর কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, আবারয় কোথাও অযোগ্যদের নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee | অনুব্রতই আস্থা মমতার, জেলা সভাপতি পদ বহাল কেষ্টর
স্কুল সার্ভিস কমিশনের একাধিক অফিসার আদালতে বিচারপতির কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন, সুবীরেশ ভট্টাচার্য কমিশনের চেয়ারম্যান থাকাকালীন ওই সংস্থাকে বরাত দেওয়ার ব্যাপারে একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বিধাননগরে কমিশনের সার্ভার রুমে চেয়ারম্যান ছাড়া আরও কারও প্রবেশাধিকার ছিল না। বিচারপরি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কমিশনের এক মহিলা আধিকারিককে বলেছিলেন, আপনাকে আরও অনেক কিছু জানাতে হবে। ওই আধিকারিক জবাবে বলেছিলেন, আমি যা জানি, তা বলতে কোনও আপত্তি নেই।
আদালতে আরও অভিযোগ উঠেছিল, চেয়ারম্যানের নির্দেশেই নির্ধারিত সময়ের আগেই বহু ওএমআর শিট নষ্ট করে ফেলা হয়েছিল। সে ব্যাপারে আদালতের প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারে কমিশন। প্রাথমিকে টেটের ক্ষেত্রেও ওএমআর শিট বিকৃতির অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি হুগলির তৃণমূল যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের বাড়ি থেকেও অনেক ওএমআর শিট উদ্ধার করেছে সিবিআই। তার মধ্যে স্কুলের নিয়োগ ছাড়া বিভিন্ন পুরসভার নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট রয়েছে। সিবিআই অফিসারদের দাবি, স্কুলের নিয়োগ দুর্নীতির ব্যাপারে বেসরকারি সংস্থা নাইসার ওই কর্তার যোগাযোগ থাকতে পারে। গাজিয়াবাদ থেকে নীলাদ্রিকে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।