রাম মন্দির নির্মাণের জমি কেনাবেচা বিতর্কে এক সাংবাদিক সহ তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হল৷ অভিযোগ করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা চম্পত রাইয়ের ভাই। এ দিকে, প্রাথমিক তদন্তে বিজনৌর পুলিশের তরফে জমি দুর্নীতি মামলায় চম্পত রাই ও তাঁর ভাইকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে।
উত্তর প্রদেশ পুলিশ সূত্রে খবর, চম্পত রাইয়ের ভাই সঞ্জয় বনশল সাংবাদিক বিনীত নারায়ণ, অলকা লাহোটি ও রাজনীশের নামে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫টি ধারায় ও তথ্য প্রযুক্তি আইনের তিনটি ধারা মিলিয়ে মোট ১৮টি মামলা দায়ের করেছেন। সঞ্জয় বনশলের অভিযোগ, ওই তিনজন চম্পত রাইয়ের বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ এনেছেন৷ যা দেশজুড়ে কয়েক কোটি হিন্দু মনোভাবে আঘাত করেছে।
সম্প্রতি একটি ফেসবুক পোস্টে সাংবাদিক বিনীত নারায়ণ চম্পত রাইয়ের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে জমি দখলের অভিযোগ করেন। তাঁর ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ ছিল, প্রবাসী অলকা লাহোটির বিজনৌরে ২০ হাজার স্কোয়ার মিটারের গোশালার জমি দখল করেছেন চম্পত রাই। ২০১৮ সাল থেকেই অলকা লাহোটি দখলকৃত জমি উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। তিনি জমি উদ্ধারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের হস্তক্ষেপেরও দাবি করেছেন৷
এফআইআরে সঞ্জয় বনশল উল্লেখ করেছেন, ঘটনার সত্যতা জানাতে সাংবাদিক বিনীত নারায়ণকে ফোন করেন। কিন্তু রাজনীশ নামক এক ব্যক্তি ফোন ধরেন খারাপ ব্যবহার-সহ খুন করার হুমকিও দেন। তাই তিনি বাধ্য হয়ে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন। এ দিকে, এফআইআর দায়ের হওয়ার পরই বিজনৌরের পুলিশ প্রধান ধর্মবীর সিং এক ভিডিয়ো বিবৃতিতে বলেন, “স্থানীয় পুলিশ গোটা বিষয়টির তদন্ত করছে। চম্পত রাই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রবীণ নেতা এবং রাম মন্দির তৈরির জন্য গঠিত ট্রাস্টেরও সদস্য। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন। আমরা সমস্ত তথ্য প্রমাণ জোগাড় করছি।”
উল্লেখ্য, কয়েক মিনিটের ব্যবধানে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য ২ কোটি টাকার জমির দাম হয়ে গিয়েছিল ১৮ কোটি টাকা! যাকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়৷ নতুন করে তিন জনের নামে ১৮টি মামলা হওয়ায় বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ হল৷