কুনো: দম্পতির নাম ওবান (Obaan) এবং আশা (Asha)। তাদের পেশা শিকার। এক সময় বাসা ছিল নামিবিয়ায়। বর্তমানে তাদের ঠিকানা মধ্যপ্রদেশের কুনো অভয়ারণ্য (Kuno National Park)। ডাকাবুকো পুরুষসঙ্গীর সঙ্গে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হল সঙ্গিনী আশাকেও। রবিবার নামিবিয়া (Namibia) থেকে নিয়ে আসা আটটি চিতার মধ্যে একটি পুরুষ ও অন্যটি মেয়ে চিতাকে ছেড়ে দেওয়া হয় স্বাধীন শিকারের জঙ্গলে। এতদিন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য তাদের একটি পরিধির মধ্যে চোখে চোখে রাখা হয়েছিল।
ভারতে বিলুপ্ত চিতার অভাব দূর করতে দক্ষিণ আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে গত সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘অপারেশন চিতা’ (Cheetah Project) প্রকল্প শুরু করেন। মধ্যপ্রদেশের কুনো অভয়ারণ্যে ছেড়েছিলেন ৮টি চিতাকে। শনিবার আরও এক নতুন পথে এগোল এই চিতাগুলি। এই প্রথম এনক্লোজারের বাইরে, বন্য প্রকৃতির মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হল এই দু’ই চিতাকে।
আরও পড়ুন: Punjab AAP Government | পাঞ্জাবে ৮00-রও বেশি বন্দুকের লাইসেন্স বাতিল
জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ বিভাগের সদস্য-সচিব এস পি যাদব জানিয়েছেন, আমরা পুরুষ চিতা ওবান এবং স্ত্রী চিতা আশাকে ছেড়েছি। সকালে পুরুষ চিতা ছাড়ার পর, সন্ধ্যায় ছাড়া হয় স্ত্রী চিতাকে। তিনি আরও জানান, এই ওবান (পুরুষ চিতা) সব কটি চিতার মধ্যে সর্দার। আকারেও সে সবার চেয়ে বেশ বড়। সে শিকারেও সকলের থেকে সেরা। অন্যদিকে আশাও (স্ত্রী চিতা) দারুণ শিকার করে। তাছাড়া ওবানের সঙ্গে তার বোঝাপড়াও খুব ভালো। বন বিভাগের অনুমান, তাদের মধ্যে সম্ভবত যৌন মিলনও হয়েছে। যাদবের কথায়, কেবল শিকার করার জন্যই ওদের ছাড়া হয়নি, ওদের মাধ্যমে যাতে এদেশেও চিতার বংশবৃদ্ধি হয়, সে কথা মাথায় রেখেও ওদের এক সঙ্গে ছাড়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, চিতার পরিবার বড় করার দিকেও বিশেষ লক্ষ্য রেখেছে বন বিভাগ।তাদের গলায় পরানো রেডিও কলার খতিয়ে দেখে তাদের গতিবিধির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, প্রথমে নির্দিষ্ট এনক্লোজারে রাখা পর অপেক্ষাকৃত অনেকটাই বড় ৬ বর্গ কিমির এনক্লোজারে রাখা হয়েছে ওই চিতাদের। এবার সেখান থেকেই বন্য অরণ্যের ভিতরে ছেড়ে দেওয়া হল আশা ও ওবানকে। ১৫ দিন একটানা তাদের মনিটরিং করা হবে। যে এলাকায় ওই দু’টি চিতাবাঘ থাকবে তার এক কিলোমিটার আগেই পর্যটকদের গাড়ি থামিয়ে দেওয়া হবে।