কলকাতা: একের পর এক প্রশ্ন তুলে ফের রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে (WB State Election Commission)কাঠগড়ায় দাঁড় করাল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি টি এস শিভগননম (Chief Justice T S Sivagnanam) এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ সেই প্রশ্নের জবাব সহ কমিশনের কাছে হলফনামা চেয়ে ২৭ জুনের মধ্যে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ জুন।
এদিন পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) ঘিরে কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলায় শুনানির শুরুতে প্রধান বিচারপতি কমিশনের কাছে জানতে চান, পঞ্চায়েত ভোটের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি কী? কমিশনের আিনজীবী কিশোর দত্ত জানান, কেন্দ্রীয় সরকার ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী যে কোনও মুহূর্তে পাঠাবে বলে জানিয়েছে। বাকি ৪৮৫ কোম্পানির জন্য কমিশন শুক্রবারই কেন্দ্রের কাছে চিঠি দিয়েছে। তাঁর দাবি, কমিশনের তরফে ইচ্ছাকৃত ভাবে দেরি করা হয়নি। তাই আদালত অবমননার এই মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ২১ জুনের নির্দেশের প্রেক্ষিতে কমিশন এখনও রিপোর্ট পেশ করেনি। তা হলফনামার আকারে পেশ করা উচিত ছিল। নজরদারির জন্য কমিশন কী পদক্ষেপ করেছে, তাও স্পষ্ট নয়। কমিশনের বিভিন্ন পরিকল্পনার সম্পর্কে আদালতের ধারণা স্বচ্ছ নয়। পাশাপাশি সাড়া রাজ্যে ২০৫৮৫ জন প্রার্থী কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করল, কমিশনকে হলফনামায় তারও ব্যাখ্যা দিতে হবে। একই সঙ্গে কমিশন ইচ্ছাকৃত ভাবে আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছে কি না তাও হলফনামায় জানাতে হবে বলে আদালত জানিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: Kuntal Ghosh | কুন্তল ঘোষ চিঠি মামলাতে সিবিআই তদন্ত চলবে বলে জানাল কলকাতা হাইকোর্ট
মামলাকারী শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী বলেন, ১৩জুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু কমিশন তা করেনি। এর ফলেই মনোনয়ন পর্ব অবাধ ও শান্তিপূর্ণ থাকেনি।অথচ ভোটের আর মাত্র ১৪ দিন বাকি। প্রধান বিচারপতি জানান, এ ব্যাপারেই কমিশনকে হলফনামা দিতে বলা হয়েছে। আদালত আরও বলে, মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারেনি বলে অনেক প্রার্থী আদালতে অভিযোগ করেছেন। তাঁদের গণতান্ত্রিক অধীকার হরণ করা হয়েছে। এছাড়া বিপুল সংখ্যক মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে, এই সম্পর্কেও কমিশনের হলফনামা তলব করা হয়েছে।
আদালতের কমিশনের তরফে জানানো হয়, পঞ্চায়েত ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য তারা সব রকমের পদক্ষেপ করবে। ইতিমধ্যে ২৭৩ জন ডবলুবিসিএস অফিসার এবং ২২জন আইএএস অফিসারকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়েগ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী সম্পর্কে আদালতের বক্তব্য, যদি রাজ্য নির্বাচন কমিশন মননে করে এই বাহিনী পর্যাপ্ত নয়, তবে তারা আবারও বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করতে পারে।