কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রাজ্যকে হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য আরও ৪ দিন সময় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চে বৃহস্পতিবার ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার শুনানি হয়। রাজ্যের হয়ে মামলার সওয়াল করেন- অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি), কপিল সিব্বল, অভিষেক মনু সিংভি। এজি আদালতে জানান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের অ্যানেক্সচার-১ দেওয়া হয়নি রাজ্যকে। একই সওয়াল করেন কপিল, অভিষেক।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার কমিশনে বিজেপির লোক, রাজ্যের ‘হিংসা’ নিয়ে ভুলে ভরা রিপোর্ট: মমতা
রাজ্যের আইনজীবীরা হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য সময় চান। অভিষেক মনু সিংভি আদালতকে বলেন, ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন নিরপেক্ষ নয়। তাদের রিপোর্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল বলেন, ‘এই মামলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে আর সময় দেওয়া সম্ভব নয়।’ তবে রাজ্যের আবেদন মেনে নিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল জানান, ২৬ তারিখের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে হবে রাজ্যকে। পরবর্তী শুনানি ২৮ জুলাই।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথের বাংলায় হিংসা, ভিটেছাড়া মানুষ, সিবিআই তদন্ত চায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
#UPDATE | A 5-judge bench of Calcutta High Court to hear the matter of NHRC report on post-poll violence in West Bengal on July 28 pic.twitter.com/UQNDDKJEl0
— ANI (@ANI) July 22, 2021
তিনি বলেন, ‘হলফনামা জমা দেওয়ার রাজ্যকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত সময় দেওয়া হল। তার বেশি সময় দেওয়া যাবে না। অ্যানেক্সচার-১ দেওয়া যাবে না। ২৮ জুলাই মামলা শুনব।’ প্রধান বিচারপতির এই নির্দেশের পর জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আদালতকে জানায়, তারা রাজ্যের হলফনামার প্রত্যুত্তর দিতে চায়। প্রধান বিচারপতি কমিশনের দাবি মানতে চাননি। তিনি নির্দেশ দেন, আর হলফনামা জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আপনি এই মামলায় সংযুক্ত নন। আপনার সওয়ালেরও প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন: সংসদ ভবন হয়ে উত্তরপ্রদেশে অভিযানের পরিকল্পনা বিক্ষোভকারী কৃষকদের
সপ্তাহখানেক আগে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত বৃহত্তর বেঞ্চে ৫০ পাতার রিপোর্ট জমা দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। রিপোর্টে ভোট পরবর্তী হিংসা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। হাইকোর্টে জমা পড়া রিপোর্টে ‘চিত্ত যেথা ভয় শূন্য উচ্চ যেথা শির…’, রবীন্দ্রনাথের কবিতার এই লাইন উল্লেখ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কমিশন।
আরও পড়ুন: মমতার ভার্চুয়াল সভায় উদ্বুদ্ধ, মিছিল করে বিজেপি থেকে তৃণমূলে
কমিশনের অভিযোগ, ২ মে ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে এ রাজ্যে কয়েক হাজার মানুষ ঘরছাড়াে রবীন্দ্রনাথের মাটিতে শ্লীলতাহানি, খুন, ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটেছে। বিধানসভার ফল ঘোষণার পর বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে, যা এই মাটির সম্মান নষ্ট করেছে। আদালতের পর্যবেক্ষণে তদন্ত ছাড়াও ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গঠন করে দ্রুত মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করার দাবি জানিয়েছে।