কলকাতা:বেসরকারি স্কুলগুলোর বকেয়া বেতন জমা দিতে হবে অভিভাবকদের। কোন তারিখের মধ্যে জমা দিতে হবে তার সময়সীমা বেঁধে দিল আদালত। কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে যে সব অভিভাবক এখনও পর্যন্ত ফি জমা করেননি, চলতি মাস অর্থাৎ সেপ্টেম্বরের তিরিশ তারিখের মধ্যে বকেয়া জমা দিতে হবে। আপাতত ফি-এর পঞ্চাশ শতাংশ জমা দিলেই হবে। বাকি বেতনের পঁচিশ শতাংশ অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে জমা করলেই হবে। পাশাপাশি, আদালত এটাও স্পষ্ট করেছে, আগে স্কুলগুলিকে বেতনের ব্রেক আপ স্পষ্ট করে জানাতে হবে । কারণ, অতিমারি-লকডাউনের সময়কালে যখন স্কুলগুলি বন্ধ, সে সময় ল্যাবরেটরি-সহ বেশ কিছু ফি মকুব করার কথা বলা হয়েছে । বকেয়া বেতনের ক্ষেত্রে সে-বিষয়গুলো স্পষ্ট করে জানানোর নির্দেশ স্কুলগুলিকে দিয়েছে আদালত ।
আরও পড়ুন: ‘সমীক্ষা’ করতে নিউজ ক্লিক ও নিউজ লন্ড্রির দফতরে আয়কর হানা
এ ছাড়াও আদালত জানিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলগুলোয় কত বেতন বকেয়া পড়ে আছে তার তথ্য এবং তালিকা আদালতে জমা করতে হবে। অভিভাবকদের কাছে থেকে একাধিক অভিযোগ আদালতে জমা পড়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, স্কুলগুলো অভিভাবকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি নিচ্ছেন। এই অতিমারীর সময় সমস্ত স্কুলগুলোই বন্ধ। কিন্তু তারপরেও এমন কিছু সার্ভিস ফি স্কুলগুলো দাবি করছে যার কোনও যুক্তি নেই। যে সমস্ত সার্ভিস স্কুলগুলো দিচ্ছে না, তাও একসঙ্গে যোগ করে মাসিক ফি বা বেতন হিসেবে অভিভাবকদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। আবার স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশকে হাতিয়ার করে স্কুল ফি দিতে চাইছেন না বহু অভিভাবক।
স্কুল ফি নিয়ে অভিভাবকদের বিক্ষোভ৷ ছবি- সৌজন্যে ইন্টারনেট৷
আরও পড়ুন: আদালত-রাজ্য সরকার সহমতের ভিত্তিতে চাকরি পাচ্ছেন বহু প্রাথমিক শিক্ষক
স্কুলগুলিকে আদালতের নির্দেশ দিয়েছে, অবিলম্বে বিস্তারিত ভাবে কোন কোন খাতে কী কী অর্থ ধরা হচ্ছে তার বিল অভিভাবকদের কাছে পাঠাতে হবে। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার এই নির্দেশ দেয়। ছাত্র ও বিদ্যালয়গুলির কাছ থেকে তাদের বক্তব্য জানিয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ১ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি। আদালত জানিয়েছে, নির্দিষ্ট স্কুল-ফি নির্দিষ্ট সময়ে জমা করা অভিভাবকদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
প্রসঙ্গত, করোনা অতিমারি এবং লকডাউনের সময় স্কুল বন্ধ । বাড়ি থেকেই ক্লাস হচ্ছে । স্বাভাবিক ভাবেই ল্যাবরেটরি-সহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে ফি মকুবের দাবি ওঠে । অনেক স্কুল তা মেনে নেয় । ফি কাঠামোর পরিবর্তন করে । অনেক ক্ষেত্রে অভিভাবকরা আবার পুরনো বেতন কাঠামোতেই বেতন দিতে সম্মত হন ।