শান্তিপুর: পানশালায় মদ্যপান করে সেখানে আসা অন্যান্য মানুষদের মারধর করা ও সেই ঘটনার খবর সংগ্রহ করতে গেলে সংবাদ মাধ্যমকে আক্রমণ করার অভিযোগ উঠল তৃনমূলের বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। আর সেই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে শান্তিপুরে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালো বিজেপি।
সূত্রের খবর, বুধবার রাতে শান্তিপুরের গোবিন্দপুর এলাকার একটি পানশালায় মদ্যপান করতে আসেন বায়রন বিশ্বাস। অভিযোগ, সেখানেই মদ্যপান করে মদ্যপ অবস্থায় পানশালায় আসা অন্যান্য মানুষের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ও তাঁদের মারধর করেন। অভিযোগ, এই খবর সংগ্রহ করতে গেলে আক্রান্ত হয় সংবাদ মাধ্যম। কেড়ে নেওয়া হয় তাঁদের ক্যামেরা ও ফোন। আর সেই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে শান্তিপুরে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত সাংবাদিকদের ফোন ও ক্যামেরা ফেরত দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: ফের আপডেট হচ্ছে এক্স! এবার কোন কোন বদল থাকবে?
উল্লেখ্য, এর আগে একটি অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়েছিল। তাতে বায়রন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় একজনকে গালিগালাজ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। বায়রন বিশ্বাস কংগ্রেসের প্রতীকে সাগরদিঘিতে জয়ী হন। পরে তিনি দলবদল করে তৃণমূলে যোগ দেন। সেসময় এলাকার অনেকেই তাঁকে বিশ্বাসঘাতক বলে মন্তব্য করেছিলেন।
সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে বায়রন প্রায় ২৩ হাজার ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হন। এর আগে ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের সুব্রত সাহা প্রায় ৫২ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুতেই ওই কেন্দ্রে উপ নির্বাচন হয়। সুব্রত সাহার জয়ের মার্জিন ছাড়িয়ে ২২ হাজার ভোটে বায়রন জেতায় অধীরের দাবি ছিল, আসলে এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের জয় হয়েছে প্রায় ৭৪ হাজার ভোটে। অধীর আরও দাবি করেন, এই সাগরদিঘি মডেলই আগামী দিনে তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে সারা রাজ্যে কার্যকর করবে বাম কংগ্রেস জোট। বায়রন তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বিধানসভায় কংগ্রেস ফের শূন্য হয়ে গেল।