কাকদ্বীপ: বেআইনি গাড়ি বন্ধের দাবিতে জয়েন্ট কমিটি অফ বাস অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের (Joint Committee Of Bus Operators) ডাকা তিন দিনের বাস (Bus) ধর্মঘটে (Strike) প্রথম দিনই সুন্দরবন এলাকায় পরিবহণ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ল। কাকদ্বীপ (Kakdwip) ও সুন্দরবনের (Sundarban) বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রতিদিন প্রায় ৩০০ বাস এবং মিনি বাস চলে। এদিন পথে অল্প কিছু সংখ্যক বাস-মিনি বাস দেখা গিয়েছে। কাকদ্বীপ-কলকাতা সংযোগকারী সমস্ত বেসরকারি বাস ও রায়দিঘি রুটের সমস্ত বেসরকারি বাস বন্ধ ছিল। ফলে সকাল থেকেই ভোগান্তির শিকার হন অফিসযাত্রী থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা। স্নাতক স্তরে এখন বিভিন্ন কলেজে পরীক্ষা চলছে। বাস-মিনি বাস না পেয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে পড়ুয়াদের কালঘাম ছুটে যায়।
সোমবার সকাল থেকেই কাকদ্বীপ-সুন্দরবন-রায়দিঘির বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বেসরকারি বাস প্রায় চোখেই পড়েনি। ফলে চাপ পড়ে সরকারি বাসের উপর। সরকারি বাসের সংখ্যাও ছিল হাতে গোনা। স্ট্যান্ড থেকে এক একটি সরকারি বাস ছেড়েছে বাদুড়ঝোলা অবস্থাতেই। যাত্রীদের অভিযোগ, বাস ধর্মঘট যদি তিন দিন চলে, তাহলে পরিস্থিতি মারাত্মক হয়ে উঠবে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বাস ধর্মঘটের দরুন ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আরও পড়ুন:জেলায় জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট, অবরোধ
সুন্দরবন বাস মালিক ইউনিয়নের সভাপতি রহিচউদ্দিন মোল্লা বলেন, বহুদিন ধরে সুন্দরবনের বিভিন্ন রুটে বেআইনি অটো, টোটো, ম্যাজিক গাড়ি, ভ্যানোর দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। আমরা বহুবার স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি। এই বেআইনি গাড়ির জন্য বাস-মিনিবাস শিল্প গভীর সঙ্কটে পড়েছে। সেই কারণেই আমরা ধর্মঘটের পথে নামতে বাধ্য হয়েছি। ডায়মন্ড হারবারের অতিরিক্ত আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক শুভাশিস ঘোষ বলেন, বেআইনি গাড়ি বন্ধের ব্যাপারে আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে বাস-মিনিবাস মালিকদের ধর্মঘট তুলে নেওয়া উচিত।