নয়াদিল্লি: দিন কয়েক ধরেই জল্পনা চলছিল করোনাকালে সরকারি কর্মীদের স্বস্তি দিতে ব্যক্তিগত আয়কর ছাড় দিতে পারে কেন্দ্র। ব্যক্তিগত করবিহীন আয়ের সর্বোচ্চসীমা ২.৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লক্ষ টাকা করা হতে পারে বলে মনে করেছিলেন অনেকে। যদিও ব্যক্তিগত কর কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন করেননি নির্মলা সীতারমন। তবে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর শোনাল মোদি সরকার।
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে সমতা রেখে ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে জমানো অর্থের উপর কর ছাড়ের সীমা ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৪ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এর ফলে রাজ্য সরকারি কর্মীরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন। সীতারমন বলেন, ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমের ক্ষেত্রে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একই স্তরের আওতায় আনা হবে। নিয়োগকর্তার অবদান কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারী ও রাজ্য সরকারী কর্মচারী উভয়ের বেতনের ১৪ শতাংশ হবে।
আপাতত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ১৪ শতাংশ টাকা দেয় কেন্দ্র। রাজ্যের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ দেওয়া হয়। বাজেটে অনুযায়ী, দুই ক্ষেত্রেই ১৪ শতাংশ টাকা দেবে কেন্দ্র। অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রত্যক্ষ কর প্রদান পরিষেবা প্রক্রিয়া আরও সরল করা হবে। যে কোনও ভার্চুয়াল ডিজিটাল সম্পদের স্থানান্তর থেকে আয়ের ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। বিশেষ ভাবে সক্ষমরা ৬০ বছর হলে তাঁদের অভিভাবক বিমা থেকে যে অর্থ আজীবন পাবেন, তাতে কর ছাড় দেওয়া হবে।
করদাতাদের হতাশ করে ব্যক্তিগত কর কাঠামো একই রেখেছ কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেন, আয়কর কাঠামোয় কোনও বদল নেই। একই থাকছে ব্যক্তিগত কর কাঠামো। কর্পোরেট ট্যাক্স ১৮.৫ থেকে কমে ১৫ শতাংশ করা হল৷ যা শুনে বিরোধীরা এই বাজেটকে ইতিমধ্যে পুঁজিপতিগোষ্ঠীর বাজেট বলতে শুরু করেছেন৷ ১২ শতাংশ থেকে কমে সারচার্জ দাঁড়ালো ৭ শতাংশে৷
ব্যক্তিগত আয়কর মকুবের সর্বোচ্চসীমা ২০১৪ সালে শেষ বার পরিবর্তন করা হয়েছিল। মোদি সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেটে ব্যক্তিগত আয়কর মকুবের সর্বোচ্চসীমা দু’লক্ষ টাকা থেকে ২.৫ লক্ষ টাকা করা হয়। প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে ৩ লক্ষ টাকা করা হয়। অনেকেই মনে করেছিলেন, এবার ব্যক্তিগত করবিহীন আয়ের সর্বোচ্চসীমা ২.৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লক্ষ টাকা করা হতে পারে। প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে সেই সীমা বেড়ে হতে পারে ৩.৫ লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুন: Nirmala Sitharaman: নির্মলার সংক্ষিপ্ততম বাজেট ভাষণে মহাভারতের শ্লোক
করদাতাদের আয়কর রিটার্ন জমা করার জন্য বাড়তি সময় দেওয়া হয়েছে। নির্মলা বলেন, ভুল শোধরানোর জন্য করদাতাদের বাড়তি সময় দেওয়া হচ্ছে। ২০২২-২৩ সাল থেকে করদাতারা সংশ্লিষ্ট অ্যাসেসমেন্ট ইয়ারের দু’বছরের মধ্যে (বছর শেষের ২ বছরের মধ্যে) সংশোধিত রিটার্ন ফাইল করতে পারবেন। তার ফলে করদাতাদের ঝামেলা অনেকটাই কমবে। মামলার ঝঞ্জাটও কমবে। এর ফলে অনেক মানুষ উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।