কলকাতা: সোমবার বিকেলে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে বেসরকারি হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে সোজা হাসপাতালে চলে যান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী যাওয়ার কিচ্ছুক্ষন আগেই ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন সাপোর্ট থেকে বার করে আনা হয় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকেরা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হবে বলে হাসপাতাল সুত্রের খবর৷
সোমবার সকালে সিটি স্ক্যান (CT Scan) করানো হয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharjee )। এদিন সকাল ৭টা ১৫ মিনিট নাগাদ বুদ্ধবাবুর চেস্টে সিটি স্ক্যান করানো হয়। ফুসফুসের সংক্রমণ পরিস্থিতি জানতেই এই স্ক্যান করানো হয়েছে। স্ক্যানের রিপোর্টের ভিত্তিতেই চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তার ভেন্টিলেশনের মাত্রা কম করা যাবে কি না। শারীরিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এবং বেশ কিছু রক্তের নমুনা রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর আজ দুপুরে মেডিকেল বোর্ড মিটিংয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকেরা।
পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থার নতুন করে অবনতি হয়নি। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা সাময়িকভাবে স্থিতিশীল থাকলেও সংকট কাটেনি। আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেশনেই রাখা হয়েছে তাঁকে। রবিবার রাতেও তাঁকে রুটিন চেক আপ করেছেন মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা। রক্তে সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইনসুলিনের ছোট ছোট ডোজ দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। তবে চিকিৎসরা জানাচ্ছেন, তাঁকে লাগাতার স্যালাইন দেওয়া সম্ভব নয়। তাই স্যালাইন নির্দিষ্ট পরিমাণ মেনে দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরেই জ্বর ছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। এর মধ্যে সিওপিডি-র সমস্যা রয়েছে তাঁর। শুক্রবার সকাল থেকেই শ্বাসকষ্ট বাড়তে শুরু করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। শনিবার পরিস্থিতির অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যেই মেডিক্যাল বোর্ড গঠিত হয়েছে।