কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্ষদ থেকে রাশিয়াকে বহিষ্কার করা হল। ইউক্রেনের বুচায় অসংখ্য নিরাপরাধ সাধারণ মানুষকে হত্যা করার অপরাধে মানবাধিকার পর্ষদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেই অধিবেশনেই রাশিয়াকে মানবধিকার পর্ষদ থেকে বহিষ্কারের প্রস্তাব আনা হয় আমেরিকার উদ্যোগে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ভারতীয় সময় বৃহস্পতি বার সন্ধে সাড়ে সাতটায় ওই বৈঠক শুরু। সেই ভোটাভুটিতে রাশিয়াকে বহিষ্কারের প্রস্তাবের পক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পড়ে। প্রস্তাবের পক্ষে ৯৩টি ভোট পড়ে। বিপক্ষে ২৪টি আর অংশ গ্রহণ করেনি ৫৮টি দেশ। আর তাই, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্ষদ থেকে রাশিয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যদিও এই ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি ভারত।
ইউক্রেন-রাশিয়ার সামরিক সংঘাতে মানবাধিকার বিপন্ন, তৈরি হয়েছে চরম সংকট। এ রকমই মনে করছে জো বাইডেনের প্রশাসন। ইউক্রেনের বুচা শহরে কোনও রকম আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে অসংখ্য নিরাপরাধ সাধরণ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে মনে করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্ষদ থেকে রাশিয়াকে বহিষ্কার করার প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
The countries which voted for and against Russia's suspension from the UN Human Rights Council pic.twitter.com/xhZs7GfIV4
— BNO News (@BNONews) April 7, 2022
কিছুদিন আগে ইউক্রেনের বুচা (Bucha Genocide) শহরে জীবন্ত ৩০০ জনকে কবর দেওয়ার ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। কোনও কোনও লাশের হাত-পা বাঁধা। নিরাপরাধ সাধারণ নাগরিকদের (civilians at Bucha) কবর দেওয়া লাশের ছবি প্রকাশ্যে আসার পরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি (Volodymyr Zelensky) এটা ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করেন।
আরও পড়ুন: Tapan Kandu Murder CBI: তপন কান্দু হত্যার কেস ডায়েরি নিল সিবিআই
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক সংবাদ সংস্থাকে জেলেনস্কি এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দেন। তিনি বলেন, এটা অবশ্যই গণহত্যা। ইউক্রেনের এই নারকীয় ঘটনার জন্য পশ্চিমের দেশগুলি সম্পূর্ণভাবে রাশিয়ান সেনা (Russian troops) বাহিনীকেই দায়ী করে। রুশ সেনা কিভ আক্রমণের সময়ই জেলেনস্কি বলেছিলেন, এই যুদ্ধ সারা বিশ্বের কাছে গণহত্যার বিরাট পরিচয় দেবে।