কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) নিয়ে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করতে চলেছে বিজেপি। শনিবারই মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে (State Election Commissioner Rajeev Sinha) নোটিস পাঠিয়েছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য নেতারা কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন এদিন রাতে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এনআইএ তদন্তেরও দাবি করেছেন। কারণ এদিন বোমা, গুলিতে অনেকের মৃত্যু হয়েছে।
শুভেন্দু জানান, এদিন কমিশন এবং রাজ্য প্রশাসনের ৯০ শতাংশ ফোন কোনও কাজ করেনি। পর্যবেক্ষক, রিটার্নিং অফিসার, থানার ওসি, সকলের ফোনই নিষ্ক্রিয় ছিল। এ বিষয়ে সব তথ্য সংগ্রহ করে আদালতে জমা দেওয়া হবে। তাঁর আরও অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অদিন সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি।
এদিকে নির্বাচন কমিশনার এদিন বলেন, আইনশৃঙ্খলা দেখা আমার কাজ নয়। আমার কাজ ব্যবস্থাপনা করা। কে কোথায় কখন কাকে গুলি করবে, তা আমি কী করে জানব। শনিবার সকাল থেকেই ভোট ঘিরে রাজ্য ছিল উত্তপ্ত। সারা দিনে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সকাল সাতটায় ভোটপর্ব শুরু হলেও তিনি দফতরে আসেন বেলা দশটা নাগাদ। দুপুরে কমিশনার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তাঁর কাছে তিনজনের মৃত্যুর খবর রয়েছে। কমিশন কি আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে বা সন্ত্রাস রুখতে ব্যর্থ, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা দেখা আমার কাজ নয়। সেটা রাজ্য পুলিশ দেখে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাবের অভিযোগও তিনি মানতে রাজি হননি।
এদিকে বিরোধীদের অভিযোগ, বহু বুথে এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force)কোনও অস্তিত্বই ছিল না। বাহিনী নিয়ে সমন্বয়ের দায়িত্ব ছিল বিএসএফের আইজির। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে অভিযোগ তোলে শাসকদলও। বিএসএফ রাতে এদিন দায় চাপায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ঘাড়ে। তারা কমিশনকে চিঠি পাঠিয়ে অভিযোগ করে, স্পর্শকাতর বুথ সম্পর্কে তারা বিএসএফকে কোনও তথ্য সঠিক সময়ে দেয়নি। বিএসএফের দাবি, যে সব জায়গায় এদিন ঝামেলা হয়েছে, সেখানে রাজ্য পুলিশ ছিল শুধু। যদি সঠিক সময়ে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা পাওয়া যেত, তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি অনেক মসৃণ হত।