লন্ডন: ডাউনিং স্ট্রিটের সতর্কতা সত্ত্বেও ব্রিটিশ আইন প্রণেতারা (UK Lawmakers) সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) লিজ ট্রাসকে (Liz Truss) ক্ষমতাচ্যুত করার পথে হাঁটতে চলেছেন। খবরে প্রকাশ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হতে পারে। ১০০ জনেরও বেশি মেম্বার অব পার্লামেন্টস (MPs) লিজের বিরুদ্ধে অনাস্থা পত্র (No Confidence Letter) জমা দেওয়ার জন্য তৈরি বলেও জানা গিয়েছে। নামে প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রকে উদ্ধৃত করে জনপ্রিয় একটি ব্রিটিশ পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, কনজার্ভেটিভ পার্টি কমিটির প্রধান গ্রাহাম ব্র্যাডির (Graham Brady) কাছে একশোরও বেশি মেম্বার অব পার্লামেন্টস অনাস্থার কথা জানাতে চলেছেন এই সপ্তাহেই। যদিও সে দেশের ওয়াকিবহাল মহল আগে থেকেই সতর্ক করে রেখেছে, লিজকে ক্ষমতা থেকে সরালে নতুন করে সাধারণ নির্বাচন (General Election) হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হতে পারে ব্রিটেনে।
ব্রিটেনে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক সঙ্কট চলছে। ২০১৬ সালে ভোটাভুটির মাধ্যমে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (European Union) ছেড়ে বেরনোর পর থেকে সে দেশে তিনবার প্রধানমন্ত্রী বদল হয়েছে। ওই ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডের রিপোর্ট, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যরা ব্র্যাডিকে আস্থা ভোট করানোর জন্য আর্জি জানাবেন। নবনিযুক্ত চ্যান্সেলার জেরেমি হান্ট (Chancellor Jeremy Hunt) এবং ব্র্যাডি যদিও লিজকে আরও সময় দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। এও জানা গিয়েছে, কিছু কিছু আইনপ্রণেতা আবার লিজকে সরিয়ে নতুন কাউকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য গোপনে আলোচনাও করেছেন।
উল্লেখ্য, কনজার্ভেটিভ পার্টির (Conservative Party) নেত্রী লিজ ট্রাস গত মাসে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হয়েছেন। নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম ছিল সে দেশের আর্থিক অগ্রগতির স্বার্থে কর ছাড়। কিন্তু বাজেটে কর ছাড় দিলেও, তা মূলত বিত্তশালীদের জন্য। এরপরে ব্রিটেনে অর্থনৈতিক পতন শুরু হয়েছে নতুন করে। অধিকাংশ ব্রিটিশ জনগণও লিজের বিপক্ষে মত দিয়েছেন। এরপর, সংবাদমাধ্যমে নিজের সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে সওয়াল করে বিতর্ককে আরও উস্কে দেন লিজ।