লন্ডন: বিশ্বে জলবায়ুর পরিবর্তন নিয়ে চিন্তিত সব দেশ। তারই মধ্য অগ্রগণ্য উন্নত বিশ্বের দেশ ব্রিটেন (Britain)। এবার আন্তর্জাতিক জলবায়ু (Climate) সংক্রান্ত বিষয়ে নেতা (Leadership) হিসেবে ব্রিটেনের তকমা খোয়া গেল। এক্ষেত্রে যেটা প্রয়োজন সেই অনুযায়ী কাজ করেনি ব্রিটেন। বুধবার আবহাওয়াবিদদের সূত্রে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থার তরফে এই খবর জানানো হয়েছে। ২০১৯ সালে ব্রিটেন সাতটি সম্পদশালী দেশের (Group of Seven Wealthy Nations) প্রথম সদস্য হন। যারা জিরো কার্বন নির্গত (Required Emission Cuts) টার্গেট ঠিক করে ২০৫০ সালের মধ্যে। যেভাবে ব্রিটেনে পরিবহণ ব্যবস্থা চলে ও বিদ্যুত পরিষেবা দেওয়া হয় তাতে বড় পরিবর্তন আনার কথা বলা হয়। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি ব্রিটেন। যে কারণে ব্রিটেনের সুনাম ক্ষু্ন্ন হয়। ক্লাইমেট চেঞ্জ কমিটির (Climate Change Committee) বার্ষিক প্রোগ্রেস রিপোর্টে তা ধরা পড়েছে।
ওই কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জলবায়ুর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্রিটেন আন্তর্জাতিক অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি। ব্রিটেন জীবাশ্ম জ্বালানির (Fossil Fuel Commitments) যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেখানে থেকে পিছিয়ে এসেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বড় প্রভাব পড়েছে ব্রিটেনে। সেখানে তাপমাত্রা গতবছর ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। ক্লাইমেট চেঞ্জ কমিটির চেয়ারম্যান জন গামার এমনটা বলেন। ক্লাইমেট চেঞ্জ কমিটি হল একটি স্বাধীন উপদেষ্টা কমিটি। যারা জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে ব্রিটেন সরকারকে পরামর্শ দেয়।
আরও পড়ুন: Panchayat Election | HC | পঞ্চায়েত ভোটে পর্যবেক্ষক চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
ওই কমিটি এটা দেখতে পেয়েছে যে, ব্রিটেন অনেক পিছনে পড়ে গিয়েছে। শক্তির ব্যবহার, কার্বন নিঃসরণ কমানো সহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় উঠে এসেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে রয়েছে গাছের চারা রোপণ। যা ২০২৫ সালের মধ্যে দ্বিগুণ করতে হবে। গত বছরে ওই কমিটির রিপোর্ট বলছে, কম কার্যকারিতা হয়েছ। ২০১৯ সাল থেকে প্রথম তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান লাইসেন্সিং রাউন্ড চালু করেছে সরকার। এবং একটি নতুন কয়লা খনির অনুমোদন দিয়েছে। এই ঘটনায় বিরোধী শিবির অবশ্য সরকারের সমালোচনা শুরু করেছে। সরকারের মুখপাত্র অবশ্য বলছে, শক্তি নিরাপত্তা সংক্রান্ত নতুন দফতর খোলা হয়েছে।