ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে টানটান উত্তেজনা চলছে। আগামী চার বছরের জন্য ব্রাজিল তাহলে কার হতে চলেছে? শেষ পর্যন্ত কে করবেন বাজিমাৎ – ৬৭ বছরের বলসোনারো, নাকি সাতাত্তরে পা দিতে চলা লুলা? রবিবার (৩০ অক্টোবর) জানা যাবে সেই প্রশ্নের উত্তর। বলসোনারোর কাছে চ্যালেঞ্জ ক্ষমতায় টিকে থাকার, আর লুলার লক্ষ্য হল তৃতীয়বারের জন্য ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসা। ২০১৯ সাল থেকে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেয়ার বলসানোরা (Jair Bolsonaro)। অন্যদিকে লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা (Luiz Inacio Lula da Silva) ২০০৩ থেকে ২০১০ পর্যন্ত দু’টি মেয়াদে ক্ষমতায় ছিলেন সে দেশের। এরপর একাধিক বিতর্ক এবং জেলের সাজা। তবে সে সব এখন অতীত। রাজনীতিতে কামব্যাক করার লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন লুলা। বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন ক্ষমতাসীন শাসক বলসোনারো নিজেও।
এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বলসোনারোর বিরুদ্ধে প্রথম থেকে এগিয়ে ছিলেন লুলা। প্রচার পর্বে লুলার দিকেই ঝুঁকে ছিল পাল্লা। কিন্তু ছবিটা উল্টে গিয়েছে প্রথম রাউন্ডের ভোটের পর। ভোটপর্বের ম্যারাথন ইনিংস যতই গড়াচ্ছে, লুলার বিরুদ্ধে জনসমর্থনের ব্যবধান ততই কমাচ্ছেন বলসোনারো। সমীক্ষার ফলাফলে ইতিবাচক মাইলেজ পেয়েছেন বলসোনারো, ফলে জেতার আশা জিইয়ে রেখেছেন ব্রাজিলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট। তবে, ময়দান ছাড়তে রাজি নন লুলা নিজেও। সে দেশের রাজনৈতিক মহলের বিশ্বাস, রবিবার হাড্ডাহাড্ড লড়াই হবে দুই পোড়খাওয়া হেভিওয়েট নেতার মধ্যে।
আরও পড়ুন: অ্যানা ফ্রাঙ্কের বান্ধবী হান্না গোসলারের মৃত্যু হল ৯৩ বছর বয়সে
উল্লেখ্য, নিয়ম অনুযায়ী অক্টোবর মাসের প্রথম রবিবার (এক্ষেত্রে ২ অক্টোবর) এবং শেষ রবিবার (এক্ষেত্রে ৩০ অক্টোবর) মিলিয়ে দুই রাউন্ডের ভোটে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হয়। গত ২ অক্টোবরের ভোটে লুলা ৪৮ শতাংশ ভোট পান, আর বলসোনারোর পক্ষে গিয়েছে ৪৩টি ভোট। প্রথম রাউন্ডে যেহেতু ৫০ শতাংশ ভোট পাননি লুলা, তাই তাঁর জয় নিশ্চিত নয়। দ্বিতীয় রাউন্ডে জয় পেলেই তবেই প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসতে পারবেন। ফলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে শেষ বেলায় বলসোনারো সব সমীকরণ বদলে দিতে পারেন। রবিবার ব্রাজিলের ১৫৬ মিলিয়ন জনগণ দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন।