নয়াদিল্লি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে জাতীয় সংগীকে অমর্যাদা করার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা খারিজ করল না বম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে ওই মামলা খারিজ করার আবেদন জানানো হয়েছিল বম্বে হাইকোর্টে। বুধবার সে মামলার শুনানি চলাকালীন হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, ওই আবেদন মানা সম্ভব নয়। মামলা যথারীতি বহাল থাকছে। বিচারপতি অমিত বোরকারের (Amit Borkar) এই রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে বড় ধাক্কা বলে মনে করছে আইনজ্ঞ মহল।
বুধবার মমতার আর্জি খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি অমিত বোরকার বলেন, নিম্ন আদালতের নির্দেশে কোনও ভুল নেই। বেআইনি বিষয়ও নেই। তাই এই আবেদন গৃহীত হবে না।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court | কল্যাণী থানার ওসির বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ আদালতের
ওই মামলায় এর আগে গত বছরের ২ মার্চ মুম্বইয়ের এক নিম্ন আদালত সমন পাঠিয়েছিল মমতাকে। মুখ্যমন্ত্রী সেই সমন চ্যালেঞ্জ করে সেশন কোর্টে আবেদন করেন। সেশন কোর্ট মামলা ফের নিম্ন আদালতে পাঠিয়ে সিদ্ধান্ত পু্নর্বিবেচনা করার কথা বলেন। মমতার দাবি ছিল, সেশন কোর্ট সেই মামলা নিম্ন আদালতে পাঠিয়ে ঠিক করেনি। তা খারিজ করে দেওয়া উচিত ছিল। আদালতে তাঁর আইনজীবী জানিয়েছিলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির অধীনে কোনও সরকারি পদাধিকারীর বিরুদ্ধে সমন জারি করতে গেলে সরকারের অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। এই ক্ষেত্রে সেই অনুমোদন নেওয়া হয়নি। পরে মূল মামলা খারিজ করে দেওয়ার আবেদন করেন মমতা বোম্বে হাইকোর্টে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর মুম্বই সফরে কবি জাভেদ আখতারের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে শহরের বিশিষ্টজনেদের সঙ্গে মিলিত হন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই অনুষ্ঠানের শেষে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। মুম্বইয়ের একটি নিম্ন আদালতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন বিবেকানন্দ গুপ্ত নামে এক বিজেপি নেতা (BJP Leader)। তাঁর অভিযোগ ছিল, জাতীয় সংগীত যখন শুরু হয়, তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর আসনে বসেই ছিলেন। উঠে দাঁড়াননি তিনি। বেশ কিছুক্ষণ পর উঠে দাঁড়ান। তারপর জাতীয় সংগীত শেষ হওয়ার আগেই মাঝ পথে অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে বেরিয়ে যান। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে জাতীয় সংগীতের কিছু অংশ উল্লেখ করেন। সব মিলিয়ে বিবেকানন্দের অভিযোগ, ওই দিন মুখ্যমন্ত্রী জাতীয় সংগীতের চরম অমর্যাদা করেন। আইনি মহলের একটি অংশের ব্যাখ্যা, বোম্বে হাইকোর্টের এই রায়ের ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপাকে পড়তে পারেন।