ওয়াশিংটন: দীর্ঘদিন পরে বিদেশ সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাও আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। বিশ্বের ক্ষমতাধর ওই রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এর আগে ওই দেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর জমানায় একাধিকবার আমেরিকা সফর করেছেন মোদি। নিজের রাজ্যে গুজরাতেও ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। মোদি-ট্রাম্প বন্ধুত্ব নিয়ে অনেক চর্চা হয়েছে জাতীয় রাজনীতি এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে। বাইডেন জমানায় আমেরিকা-ভারত দ্বিপাক্ষিক ‘বন্ধুত্ব’ কতটা দৃঢ় হবে তা নিয়েও কৌতূহল ছিল।
শুক্রবার ভারতকে সেই বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তাঁর মুখে শোনা দিয়েছে গান্ধী বন্দনা। মহাত্মা গান্ধী ভরসার অপর নাম বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। গান্ধীর আদর্শ সমগ্র বিশ্বের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেছেন বাইডেন।
বৈঠকে দুই রাষ্ট্রপ্রধান
ভারত এবং আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কিত সকল বিষয় নিয়ে মোদির সঙ্গে আলোচনা করেছে বাইডেন। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে করোনা মোকাবিলার কথা। বাইডেনের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয় নিয়েও দীর্ঘ সময় আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোদি। সেই সঙ্গে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতির বিষয়েও মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বাণিজ্য এই দশকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে দাবি করেছেন মোদি।
আরও পড়ুন- ডুবন্ত হাতি উদ্ধারের খবর সংগ্রহে গিয়ে নদীতে ডুবে মৃত সাংবাদিক
ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের কারণে আমেরিকার অনেক সুবিধা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মের্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই কারণে ভবিষ্যতেও সেই বন্ধুত্ব অটুট রাখার বার্তা দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “ভারতের বন্ধুত্বের কারণে অনেক আন্তর্জাতিক সমস্যা আমেরিকা প্রতিহত করতে পেড়েছিল। ২০০৬ সালে আমি জানিয়েছিলাম যে ২০২০ সালের মধ্যে ভারত এবং আমেরিকার বন্ধুত্ব অনেক মজবুত হবে।”
রুজভেল্ট রুমে হোয়াইট হাউসের ভিজিটর বুকে সই করছেন মোদি
মোদি-বাইডেন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময়ে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, বিদেশ সচিব এইচভি শ্রিংলা, আমেরিকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত টিএস সান্ধু, প্রধানমন্ত্রীর যুগ্ম সচিব আর্জি শ্রেষ্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব বিবেক কুমার।