কলকাতা: অর্জুন চৌরাসিয়ার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গেল, ঝুলন্ত অবস্থাতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে একথা জানালেন। গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ হয়েই মৃত্যু চৌরাসিয়ার, যার অর্থ অর্জুন আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে কাশীপুরে মৃত বিজেপি কর্মী অর্জুন চৌরসিয়ার ময়না তদন্তের রিপোর্ট জমা দেয় আলিপুর কমান্ড হাসপাতাল। এ বিষয়ে কেন্দ্রের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য আদালতকে জানান, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হল। রিপোর্ট দেখে আদালত কোনও নির্দেশ জারি করতে চাইলে করতে পারে।
কমান্ড হাসপাতালের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে রাজ্য পুলিসকেই আপাতত অর্জুনের মৃত্যুর তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট-সহ ভিসেরা রিপোর্ট পুলিসের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে অর্জুনের পরিবার সিবিআই তদন্তের দাবিতেই অনড়। পরিবার আবেদন জানালে তাদের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দিতে বলেছে আদালত। ১৯ মে পরবর্তী শুনানির দিন তদন্তের গতি প্রকৃতি সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করতে হবে আদালতে।
আরও পড়ুন: Rabindranath Tagore’s Noble Prize: নোবেল চুরির তদন্ত নিয়ে মমতার সুরেই ক্ষোভ শান্তিনিকেতনে
পরিবারের আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিব্রেওয়ালের দাবি, পুলিসের উপর আস্থা নেই। তাই পরিবার সরাসরি আদালতে এসেছে। এটা আত্মহত্যা হতে পারে না। অর্জুনের উচ্চতা প্রায় ছফুট। আরও দেড় ফুট উঁচু থেকে অর্জুনের দেহ ঝোলানো ছিল। আত্মহত্যা করতে হলে অত উঁচুতে দড়ি বাঁধার জন্য চেয়ার, টেবিল বা ওই জাতীয় অন্যকিছুর প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ঘটনাস্থলে সেরকম কিছু পাওয়া যায়নি।
এদিন অর্জুনের মা ফের দাবি করেন, আমি ইনসাফ চাই। অর্জুনের দাদা অমিত বলেন, আত্মহত্যা হলেও তার কারণ জানতে চাই।