জলপাইগুড়ি: রবিবার সকালে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায়ের (Mitali Roy) যোগদান বিজেপিতে (BJP)। দুপুরেই বিজেপিতে বড়সড় ভাঙন। সিপিআই (এম), বিজেপি থেকে শয়ে শয়ে কর্মী সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূলে (TMC)। বানারহাট এলাকায়। যার মধ্যে একজন সিপিএমের (CPM) পঞ্চায়েত প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনে হেরে অবশেষে তিনিও তৃণমূলে যোগ দিলেন। নির্বাচনের আগে মিতালি চলে যাওয়ায় সম্মান রক্ষার্থে নিজদের লোককে দাঁড় করিয়ে এই যোগদান বলেই দাবি বিজেপির। এদিন তোতাপাড়া চা-বাগানের বাজার এলাকায় এই যোগদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি রাজেশ লাকড়া। প্রচারের শেষ মুহূর্তে এই যোগদান তৃণমূলকে অনেকটাই বাড়তি অক্সিজেন যোগাবে বলেই দাবি ঘাসফুল শিবিরের।
ধূপগুড়িতে নির্বাচনি প্রচারের শেষ দিনে বিজেপি দলে যোগদান করায় প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মিতালি রায়কে ঘিরে ক্ষোভের আবহ সর্বত্র। রবিবার বিকেলে কালো পোশাক পড়ে ধূপগুড়িতে ধিক্কার মিছিল বের করলেন তৃণমূল সমর্থকরা। মিতালি রায়কে গদ্দার সম্বোধন করে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয় শালবাড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। তৃণমূল যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে এলাকার শতাধিক নেতা কর্মী সামিল হন এই বিক্ষোভ মিছিলে। সকলেই তাঁরা কালো পোশাক পড়ে রাস্তায় নামেন। মিতালি রায়ের নামে গদ্দার স্লোগান দেন তাঁরা। মিছিলের নেতৃত্ব দেন শালবাড়ি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি রবি সরকার। এছাড়াও সঙ্গে ছিলেন বানারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরবিন্দ রায়। ছিলেন শাখা সংগঠন এসসি ওবিসি সেলের সাধারণ সম্পাদক বাবলু রহমান।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের প্রতি ক্ষোভ থেকে বিজেপিতে যোগ, দাবি ধূপগুড়ির প্রাক্তন বিধায়কের
শালবাড়ী ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রবি সরকারের দাবি, মিতালি রায়কে তৃণমূল কংগ্রেস অনেক সম্মান দিয়েছে। তার পরেও দলের সঙ্গে বেইমানি করে গদ্দারি করে দলের সঙ্গে রাতের অন্ধকারে টাকার বিনিময়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তাদের এই প্রতিবাদ ধিক্কার মিছিল। তাঁর এই যোগদান তৃণমূল কংগ্রেসের বিন্দুমাত্র প্রভাব ফেলবে না। এদিকে এদিন ধূপগুড়িতে উপ নির্বাচনে তৃণমূলের শেষ প্রচারে অংশ নেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী।