আন্ধেরি পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে শেষ পর্যন্ত প্রার্থী তুলে নিল বিজেপি। পদ্ম শিবিরের হয়ে দাঁড়ানো মুরজি প্যাটেল নির্বাচনে লড়ছেন না, ফলে অনায়াসেই জিততে চলেছেন উদ্ধব ঠাকরের প্রার্থী রুতুজা লাটকে। শিবসেনার উদ্ধব শিবিরের নেত্রী রুতুজা বলেন, আমাকে সমর্থন করার জন্য সমস্ত পার্টি নেতৃত্ব এবং কর্মীদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি মানুষের কল্যাণে কাজ করব। প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক মহলের বেশ কিছু নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন যাতে আন্ধেরি পূর্বের উপনির্বাচন থেকে প্রার্থী তুলে নেয় বিজেপি। সোমবার সকালে তা-ই হল।
শিবসেনা ভাগ হওয়ার পর এই প্রথম কোনও উপনির্বাচন হতে চলেছে মহারাষ্ট্রে। ওই বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে বিজেপি এবং শিন্ডে গোষ্ঠীর মধ্যে টানাপড়েন চলছিল। শেষ পর্যন্ত বিজেপি এই কেন্দ্রে প্রার্থী দেয়। এদিন সেই প্রার্থী বিজেপি প্রত্যাহার করায় নানা প্রশ্ন উঠেছে। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছে, তবে কি পরাজয়ের ভয়েই শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে এল বিজেপি।
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine Conflict: একের পর এক ড্রোন বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ইউক্রেন
রবিবার সকালে মহারাষ্ট্র নবর্নিমাণ সেনার প্রধান রাজ ঠাকরে ফড়নবিশকে চিঠি লিখে বিজেপিকে প্রার্থী না দিতে অনুরোধ করেন। তার জবাবে ফড়নবিশ জানান, তিনি একা এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন। একনাথ শিন্ডের বালাসাহেবাঞ্চি শিবসেনার বিধায়ক প্রতাপ সরনায়েকও রুতুজা লাটকের বিরুদ্ধে না লড়ার অনুরোধ করেন।
ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) প্রধান শরদ পওয়ার বলেছিলেন, এই উপনির্বাচনের কোনও যৌক্তিকতা নেই, কারণ ওই আসনের মেয়াদ আর দেড় বছর। তাই রুতুজা লাটকেকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে দেওয়া হোক। দেড় বছরের জন্য ভোটের কোনও প্রয়োজন নেই।
প্রসঙ্গত, আন্ধেরি পূর্বের উপনির্বাচনে লড়তে শিবসেনার প্রতীক তির-ধনুক ব্যবহার করতে পারেনি উদ্ধব শিবির। ‘শিবসেনা’ নামেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নির্বাচন কমিশন। শেষ পর্যন্ত মশাল প্রতীক অনুমোদন করা হয়। যদিও এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে।