নয়াদিল্লি: এ বছরেই বেশ কয়েকটি রাজ্যে হবে বিধানসভা নির্বাচন। ভোটকে লক্ষ্য করেই কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক বসতে চলেছে বুধবার। দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে এই বৈঠক বসবে। যেখানে উপস্থিত থাকবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, দলের সভাপতি জেপি নাড্ডা ছাড়াও দলের তাবড় নেতারা আলোচনায় অংশ নেবেন।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটিই ভোটের প্রার্থী ঠিক করা সহ রণকৌশল, প্রচার, প্রচারের তারকা বক্তা ইত্যাদি ঠিক করে। হিমাচল প্রদেশ, কর্নাটকে দলের বিপর্যয়ের পর নির্বাচন কমিটির দায়িত্ব আরও বেড়ে গিয়েছে। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে রদবদলের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিজেপির চিলচোখ রয়েছে মিজোরাম, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানার দিকে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি-ভূমিধসে বিপর্যস্ত হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৬, জোশীমঠের বেশ কিছু বাড়িতে ভাঙন
এরমধ্যে ছত্তিশগড়, রাজস্থানে কংগ্রেস সরকার রয়েছে। অন্যদিকে, তেলঙ্গানায় অ-কংগ্রেসি, অ-বিজেপি সরকার শাসন করছে। একমাত্র মধ্যপ্রদেশে বিজেপি ক্ষমতায় থাকলেও সেখানে ইতিমধ্যেই সরকার-বিরোধী হাওয়া বইছে। মণিপুরের ঘটনার পর মিজোরামের মানুষের মধ্যেও একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কারণ মণিপুরের কুকি-জো সম্প্রদায়ের মানুষ মিজোদের জ্ঞাতি সম্প্রদায়। মণিপুর ইস্যুতে মিজোরামের শাসকদল মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট সম্প্রতি অনাস্থা প্রস্তাবে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে।
অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটও বিধানসভা ভোটগুলির ক্ষেত্রে কী চাল নেয়, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনের আগে এতগুলি রাজ্যের ভোট বিজেপির কাছে এক বিশাল অগ্নিপরীক্ষা।
বিজেপির অন্দরের খবর, যে কেন্দ্রগুলিতে দল দুর্বল সেগুলির বিষয়ে জোরাল আলোচনা হবে। সেখানে কাকে দাঁড় করানো যায়, তা নিয়েও কৌশল ঠিক হতে পারে। কারণ দলের নেতারা চাইছেন দুর্বল কেন্দ্রগুলিতে জোর দিতে। বৈঠকে রাজ্যভিত্তিক ইস্যু ঠিক করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বা সঙ্কল্পপত্রের বিষয়বস্তু নিয়েও কথা হবে কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে।