নয়াদিল্লি : ঘোড়া কেনাবেচার সম্ভাবনাকে একশো ভাগ জিইয়ে রেখে পুরোপুরি ভোল বদল বিজেপির (BJP)। দিল্লি পুরসভা ১৫ বছর পরে হাতছাড়া হওয়ার পরে দলের নেতারা প্রথমে জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা মেয়র নির্বাচনে (Mayor Election) অংশ নেবেন না। কিন্তু দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya) ভোটের ফল প্রকাশের পর গত ৭ ডিসেম্বর টুইটে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, যে প্রয়োজনে পুরসভার মেয়র নির্বাচনে তাঁরা অংশ নিতে পারেন। তার কিছুদিন পরে দিল্লির প্রদেশ বিজেপির সভাপতি আদেশ গুপ্তা অবশ্য জানিয়েছিলেন, তাঁরা ভোটে অংশ নিচ্ছেন না।
কিন্তু শেষে দেখা গেল, অমিত মালব্যের অবস্থানেই সিলমোহর দিলেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। আগামী ৬ জানুয়ারি দিল্লি পুরসভার মেয়র ভোটে তাঁরা সামিল হচ্ছেন। বিজেপির মেয়র প্রার্থী রেখা গুপ্তা আর আপের প্রার্থী শিলা ওবেরয়। অমিত মালব্য তাঁর টুইটে ওই কৌশলগত অবস্থানের কারণ হিসাবে চণ্ডীগড় (Chandigarh)পুরসভার মেয়র নির্বাচনের উদাহরণকে সামনে এনেছিলেন। আর রাজনৈতিক মহল জানাচ্ছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনের দিন দেখা যায় ৩৬ কাউন্সিলরের পুরসভায় সাত জন কংগ্রেসের (Congress) আর শিরোমণি অকালি দলের একজন কাউন্সিলর (Councillors) ভোটের দিন নিখোঁজ হয়ে যান। বাকি আঠাশ জন কাউন্সিলারের মধ্যে একজনের ভোট বাতিল হয়ে যাওয়ায় চোদ্দজন পুর সদস্যকে নিয়ে ক্ষমতা দখল করে বিজেপি। আর একই সংখ্যায় কাউন্সিলর থাকা সত্ত্বেও আম আদমি পার্টি হেরে যায়।
সেই চণ্ডীগড় মডেলে যদি দিল্লিতেও মেয়র নির্বাচন করাতে চায় কেন্দ্রের শাসক দল তাহলে ঘোড়া কেনাবেচার পাশাপশি আরও বেশ কিছু ভেল্কি দেখাতে হবে বিজেপিকে। মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ, দিল্লি পুরসভায় অমিত মালব্যরা জিতেছেন ১০৪টি ওয়ার্ডে (Ward)। আর কেজরিওয়ালরা (Arvind Kejriwal) পেয়েছেন ১৩৪টি ওয়ার্ড। অর্থাৎ অঙ্কের বিচারে ২৫০ ওয়ার্ডের দিল্লি পুরসভায় ক্ষমতায় আসা উচিত আম আদমি পার্টির। কিন্তু শেষবেলায় যদি অন্য কোনও কৌশলে ক্ষমতায় আসে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP), তাহলে নিঃসন্দেহে তা আয়ারাম-গয়ারাম খেলার এক বেনজির উদাহরণ তৈরি করবে। আশঙ্কায় আছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।