নয়াদিল্লি: মোদির ডাকা ‘ভারত জড়ো আন্দোলনের’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দিল্লির যন্তর-মন্তরে মুসলিম বিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়৷ সেই ঘটনায় অভিযোগ দায়েরের পর অভিযান শুরু করল দিল্লি পুলিশ৷ সোমবার সন্ধের পরে অভিযুক্তগের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে৷ পুলিশ সূত্রের খবর, বিজেপি মুখপাত্র অশ্বিনী উপাধ্যায়-সহ বাকি সন্দেহভাজনরা গ্রেফতার হতে পারেন৷
আরও পড়ুন- কপিল সিব্বলের ডিনারে এক ঝাঁক মুখ, বিরোধী কৌশল নিয়ে হতে পারে কথা
রবিবার যন্তর-মন্তরে অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রাক্তন মুখপাত্র অশ্বিনী উপাধ্যায়৷ তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের অনুমতি না নিয়ে জমায়েত এবং কোভিড বিধি অমান্যের অভিযোগ উঠেছে৷ যদিও দিল্লি পুলিশ অশ্বিনী উপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিয়ে উঠতে পারেনি৷
আরও পড়ুন: মোদি জমানায় মেয়েরা দেশকে মেডেল এনে দিয়েছে: বিজেপি মহিলা মোর্চা সভাপতি
দিল্লি পুলিশের এক অফিসার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, উদ্যোক্তারা অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি চেয়েছিলেন৷ কিন্তু কোভিড গাইডলাইনের জন্য জমায়েতের অনুমতি প্রথমে দেওয়া হয়নি৷ পরে অশ্বিনী উপাধ্যায় জানান, তিনি ছোটো জায়গায় অনুষ্ঠানটি করতে চান৷ ৫০ জন লোক সেখানে হাজির থাকবেন৷ সেই মত পুলিশি ব্যবস্থা করা হয়৷ কিন্তু অনুষ্ঠান শুরুর পর হঠাৎ দলে দলে লোক আসতে শুরু করে৷ তাতে বড় জমায়েত হয়ে যায়৷ প্রথমে শান্তিপূর্ণভাবেই প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন তাঁরা৷ কিন্তু হঠাৎ স্লোগান দিতে শুরু করেন৷ তার পর চলে যান সকলে৷
উদ্যোক্তাদের দাবি, দেশজুড়ে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করতে হবে৷ তুলে দিতে হবে ঔপনিবেশিক আইন৷ এর পরই ওঠে স্লোগান৷ ভাইরাল হওয়া একাধিক ভিডিও-তে মুসলিম বিরোধী নানা স্লোগান শোনা গিয়েছে৷ ‘ন্যাশনাল দস্তক’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলের রিপোর্টারকে জয় শ্রীরাম বলতে বাধ্য করে উত্তেজিত জনতা৷ তিনি বলতে না চাওয়ায় জনতার ভিড় থেকে শোনা যায় ‘ও নিশ্চয় জেহাদি’৷
আরও পড়ুন: পুরুষ সঙ্গী ছাড়া রাস্তায় বেরনোয় তরুণীকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিল তালিবানরা
গোটা ঘটনায় কাঠগড়ায় দিল্লি পুলিশ৷ কোভিড বিধি ভঙ্গ হওয়া সত্ত্বেও কেন ব্যবস্থা নিল না পুলিশ সেই প্রশ্ন উঠছে৷ ডিসিপি দীপক যাদব জানিয়েছেন, সব ভিডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করা হবে৷ তার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ ইতিমধ্যে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ৷ কিন্তু সাংবাদিক বরখা দত্ত টুইটারে প্রশ্ন তোলেন, অজ্ঞাতপরিচয় কেন? ফুটেজে তো সবাইকে দেখা যাচ্ছে৷ পাল্টা টুইট করে ডেরেক ও’ব্রায়েন লেখেন, কারণ অমিত শাহ চান না৷