কলকাতা: রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করতে ফের একবার কুৎসার পথে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ ভবানীপুরের মাইনোরিটি ভোটারদের রুটি ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল৷ তাই ওরা ভোট দিয়ে গেছে’ বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু৷ রাজ্য সরকারে ভাতা দেওয়াকে কেন্দ্র করেও আক্রমণ করেন শুভেন্দু ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই পুরোহিত-ইমাম থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রীদের জন্য নানা রকম সহায়ক ভাতা চালু করেছেন ৷ যার প্রশংসা শুধু দেশে নয়, বিদেশ থেকেও শোনা গিয়েছে ৷ সেই ভাতা প্রসঙ্গেও রাজ্যকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু ৷ রাজনীতির কারণে ইমাম ভাতা চালু করেছেন মমতা, এমন মন্তব্যও করেন শুভেন্দু ৷ হয়তো বিরোধী দলনেতা রাজনীতি করতে গিয়ে ভুলে যান, রাজ্যের প্রতিটি পিছিয়ে পড়া মানুষ রাজ্য সরকাররে এই ভাত-প্রকল্প থেকে অনেকটাই উপকৃত ৷
শুভেন্দুর কটাক্ষের পাল্টা জবাব দিয়েছেন রাজ্যের পরিবহন ও আবাসন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ তিনি বলেন, ‘ভবানীপুর এলাকার মানুষজনকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা কুকুর ভাবছে। এমন ভাবনা থেকে শুভেন্দুর বিরত থাকা উচিত। ভবানীপুরের সমস্ত ধর্ম-বর্ণের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করেন। সেজন্যই তারা ঘরের মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিজেদের স্বাভিমান নিয়ে ভোট দিতে গেছে৷ এটা শুভেন্দুর বোঝা উচিত।
আরও পড়ুন-শুভেন্দুর রক্ষাকবচ মামলায় স্বাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট
আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলি-বাঁকুড়ার মতো বন্যা কবলিত এলাকায় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন ৷ সেখানে গিয়ে ডিভিসির না জানিয়ে সাড়ে পাঁচ লাখ কিউসেকের বেশি জল ছাড়াকে এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেই প্রসঙ্গে তুলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর কটাক্ষ, জেলায় বন্যার জন্য ডিভিসি দায়ী থাকলে কলকাতায় জল জমার জন্য কে দায়ী ৷ এটা রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা ৷বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বলছেন ডিভিসির জলে আরামবাগ শহর ভেসেছে৷ তাহলে কলকাতা ভাসল কার জলে? গত তিন মাসে কলকাতার মানুষ দশবার ভেসেছে৷ কার জলে ভেসেছে৷ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এত মানুষ মারাগিয়েছে, তার দায় কে নেবে বলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু৷ যদিও আবহওয়া দফতেরর বুলেটিন অন্য কথা বলছে৷ যা শুভেন্দু অধিকারী ভুলে যান৷
আরও পড়ুন-শুভেন্দুর রক্ষাকবচ মামলায় স্বাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট
কলকাতায় গত কয়েক সপ্তাহে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তা সাম্প্রতিক অতীতের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে ৷ আবার তিনি হয়তো ভুলে যান, বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য সরকারের কোনও ভূমিকা নেই ৷ বিদ্যুৎটা পুরো সিইএসসি-র দায়িত্বে ৷ যাদের সতর্ক থাকতে নবান্ন বার বার নির্দেশ দিয়েছিল ৷ যাঁরা বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন, সেই সব পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার ৷ আজ রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করার সময় সেকথাও ভুলে যান শুভেন্দু ৷