ভোপাল: বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক হিংসা নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে তীব্র আক্রমণ বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির। রবিবার মধ্যপ্রদেশের ভোপালে গিয়ে স্মৃতি বলেন, শনিবার পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে পশ্চিম বাংলায় কী পরিমাণ মারণ-হিংসা হয়েছে তা গোটা দেশের মানুষ দেখেছে। রাহুল গান্ধীর কাছে স্মৃতি ইরানির এরপরেও কি তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গে জোট গঠনে রাজি হবেন? এ ধরনের ঘটনা রাহুলের কাছে কিংবা তাঁর পার্টির কাছে গ্রহণযোগ্য হবে?
স্মৃতি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কীভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে মানুষ তার সাক্ষী আছে। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে যাওয়া মানুষকে খুন করা হয়েছে। সেই তৃণমূলের সঙ্গেই কংগ্রেস হাত মেলাতে যাচ্ছে। গান্ধী পরিবার কি ওদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে তৈরি! রাহুল গান্ধী কি এই ‘মৌত কি খেলা’ মেনে নেবেন, প্রশ্ন তোলেন বিজেপি মন্ত্রী। উল্লেখ্য, শনিবারের ভোট সন্ত্রাস নিয়ে এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত দিল্লির কংগ্রেস কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী এদিনও তৃণমূল নেত্রীকে কড়া আক্রমণ করেন।
আরও পড়ুন: BJP Strategy Meet | দক্ষিণে পদ্ম ফোটাতে জরুরি বৈঠকে বিজেপি, লক্ষ্য লোকসভা ভোট
ভোটে হিংসার বলি হওয়া মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নওদা (Naoda) থানার গঙ্গাধারী এলাকার মৃত কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে গেলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। রবিবার নওদা থানার গঙ্গাধারী এলাকার নিহত কংগ্রেস কর্মী হাজি নিয়াকত শেখের বাড়িতে যান অধীর চৌধুরী। নিহত পরিবারের লোকজন অধীরকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। শনিবার ভোটের (Panchayat Vote) দিন ভোট দিতে যাওয়ার পথে বোমা মারা হয় হাজি নিয়াকত শেখকে (Niyakat Seikh)। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ঘন্টা কয়েক পরে মৃত্যু হয় ওই কংগ্রেস কর্মীর। ওইদিনই হাসপাতালে ওই কংগ্রেস কর্মীকে দেখতে যান অধীর চৌধুরী। রবিবার ওই কংগ্রেস কর্মীর গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালেন অধীর, পরিবারকে কে জানালেন সমবেদনা।
এই বিষয়ে এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, এই পরিবারের আরেক সদস্যকে ২০-২২ বছর আগে আমরা হারিয়েছি। একজন নির্বিবাদ মানুষকে চায়ের দোকানে বসে থাকা অবস্থায় মেরে ফেলা হল। নৃশংসভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।