বিষ্ণুপুর: শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরী ও তাঁর গাড়ি চালক কৃষ্ণ কুণ্ডুর ‘বিয়ে’ নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। চন্দনা বিয়ে অস্বীকার করলেও কৃষ্ণ কুণ্ডু নাছোড়বান্দা। কৃষ্ণ ‘দ্বিতীয় স্ত্রী’ চন্দনা বাউরির জন্য ব্যাকুল। শনিবার ৪.৫৩ মিনিটের ফেসবুক লাইভে কৃষ্ণ বললেন, আমার বা চন্দনার সিদ্ধান্ত আপনাদের ভুল মনে হতে পারে৷ কিন্তু, ভুল নয়৷’
চন্দনা বাউরী ভোটে জেতার পর থেকেই দলে কৃষ্ণর গুরুত্ব কমছিল বলে অভিযোগ৷ তাই, দলে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে তাঁরা বিয়ে করেছেন৷ সব মিলিয়ে বিয়ে নিয়ে কৃষ্ণর বক্তব্য, “আমাকে আর চন্দনাকে নিয়ে অনেক কিছুই বলছে সবাই। হয়তো আপনারা ভাবছেন যে, আমরা ভুল করেছি। কিন্তু কোনও অন্যায় আমরা করিনি। দলকে শিক্ষা দেওয়া দরকার ছিল। ওদের বোঝা প্রয়োজন।”
আরও পড়ুন- ভবানীপুর উপ-নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
তবে, ফেসবুক লাইভের শুরু থেকে অধিকাংশ সময়ই বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকারকে আক্রমণ করেছেন৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষবাবু কাউকে সাহায্য করেন না বলে পরপর উদাহরণ দিয়েছেন কৃষ্ণ৷ তাঁর কথায়, “কারও জন্য কিছু করেনি সাংসদ। শালতোড়া বিধানসভার সমস্ত কাজ একা হাতে করেছি। কাজ শেষ হওয়ার পরই আমাকে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে।”
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=208313194690551&id=100007153819414
গত ১৯ অগস্ট বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানায় বিধায়ক চন্দনা বাউরীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগে রূম্পা কুণ্ডু জানান, বিধায়ক চন্দনা বাউরী কৃষ্ণ কুণ্ডুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে গোপনে বিয়ে করেছেন। এছাড়াও বিধায়ক চন্দনা বাউরীও নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে হুমকি সহ একাধিক অভিযোগ আনেন রূম্পা কুণ্ডু। সেই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একাধিক ধারায় মামলা শুরু করেন।
আরও পড়ুন-চন্দনা বিরহে ‘কাতর’ কৃষ্ণ, দিনরাত মদ্যপান, ফের ভর্তি হাসপাতালে