খড়্গপুর: পঞ্চায়েত ব্যাপক হানাহানি, হিংসার প্রতিবাদে রবিবার ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস পরিবর্তনের স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু, এ কী পরিবর্তন হল? এদিন সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর শহরের বোগদা এলাকায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে চা চক্রে এমনটাই বলেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
ভোটের দিনে রাজ্যে হিংসার বলি ১৭ জন এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একসময় মানুষ তৃণমূলকে সমর্থন করেছিল এই কথা ভেবে যে রাজ্যে পরিবর্তন হবে। কিন্তু এই কি সেই পরিবর্তন! এখন যেন আগের থেকে অনেক বেশি ভয়ের পরিবেশ। বেশি ক্ষয়ক্ষতি। দিলীপের দাবি, তৃণমূল হিংসা না করে একটা ভোটেও জিততে পারবে না। হাজার হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী এল। আমরা কোথাও বুথে দেখতে পেলাম না। কোনও জেলায় নেই। তাদের বসিয়ে রাখা হয়েছে, বাস নিয়ে ঘুরছে। চা খাচ্ছে, থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছে। ইচ্ছে করে ভোট লুট করে জেতার চেষ্টা করেছে ওরা। সেই জন্য গন্ডগোল বেশি হয়েছে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | ভোটকর্মীদের ক্ষতিপূরণ দেবে কমিশন
ভোটে ১৭ জনের মৃত্যুর কথা মানছে না কমিশন। এ বিষয়ে বিজেপি নেতার অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের চোখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কালা, বোবা, কানা হয়ে গেলে সে দেখতে পায় না। যেদিন থেকে ভোট ঘোষণা হয়েছে। সেদিন থেকে হিংসা শুরু হয়েছে। সেই হিংসার বলি সবাই হয়েছে। পুলিশ কোথাও ছিল না। তৃণমূল বলছে, আমাদের লোক মারা গেছে। যার লোকই মারা যাক, এখানকার মানুষ তাঁরা। কেন মারা যাবে। ভোটার মারা গিয়েছেন, তাঁরা কোন দলের মানুষ। এই লাগামহীন হিংসায় সার্বিকভাবে পশ্চিম বাংলার ইমেজ খারাপ হয়েছে। ভোট সম্বন্ধে মানুষের মনে ভয় বেড়ে গিয়েছে, বলেন দিলীপ ঘোষ।