কলকাতা: দলের বেশ কয়েকজন বিধায়কের উপর আস্থা রাখতে পারছে না বিজেপি (BJP)৷ তাই রাজ্যসভা (Rajya Sabha) আসনে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে সংশয়ে ভুগছে তারা৷ গেরুয়া শিবিরের ধারণা, দলের অনেক বিধায়কই তৃণমূলের (TMC) সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন৷ সেক্ষেত্রে রাজ্যসভা আসনে লড়াই হলে ভোটাভুটির সময় বিজেপির অনেক বিধায়ক তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন৷ তাতে ক্ষতি হবে বিজেপিরই৷ প্রথমত, দলের ভাবমূর্তি ধাক্কা খাবে৷ দ্বিতীয়ত, মানুষের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছবে৷ এবং তৃতীয়ত, দলে আরও ভাঙনের সম্ভাবনা তৈরি হবে৷ এগুলো আটকাতে তৃণমূল প্রার্থী সুস্মিতা দেবের (Sushmita Dev) বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে নারাজ দলের একটা অংশ৷
আরও পড়ুন: বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত শুভেন্দু
আগামী ২২ তারিখ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন৷ সব ঠিক থাকলে আগামী সোমবার অর্থাৎ ২০ তারিখ সুস্মিতা দেব মনোনয়নপত্র জমা দেবেন৷ ২৩ তারিখ হবে মনোনয়ন পরীক্ষা৷ ২৭ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন৷ অর্থাৎ প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করতে বিজেপির হাতে এখনও ৬ দিন সময় আছে৷ কিন্তু ২২ তারিখের মধ্যে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে না পারলে সেক্ষেত্রে সুস্মিতা দেব বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ওই আসনে জয় লাভ করবেন৷ সুস্মিতা জিতলে সংসদের উচ্চকক্ষে তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৩৷
আরও পড়ুন: উপনির্বাচনের আগে আবার ভাঙন, বসিরহাট ও রানীনগরে শক্তি বাড়ল তৃণমূলের
অঙ্ক কষে রাজনৈতিক মহল জানিয়েছে, বিধায়ক সংখ্যার নিরিখে ওই আসনে বিজেপির জয়ের কোনও সম্ভাবনা নেই৷ কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর শিবিরের নেতারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে চান৷ তাঁদের যুক্তি, এতে একটা বিষয় স্পষ্ট হবে যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি লড়াই অব্যাহত রেখেছে৷ কিন্তু যাঁরা ওই আসনে প্রার্থী দিতে চান না তাঁদেরও যুক্তি, মানস ভুঁইয়ার ওই আসনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২৩ সালের ২৮ অগস্ট৷ তাই দেড় বছরের জন্য প্রার্থী দিতে নারাজ বিজেপি৷ তাছাড়া ক্রশ ভোটিংয়ের সম্ভাবনা তো রয়েছে৷ যদিও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, এখনও হাতে সময় রয়েছে৷