কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ফের ভোলবদল নীতীশ কুমারের। আর কিছু সময়ের মধ্যেই পাটলিপুত্রের সিংহাসনে বসতে চলেছে মহাগাঁটবন্ধনের মন্ত্রিসভা। দলের বৈঠকে তিনি বিজেপির সঙ্গে রক্ষাবন্ধন ছিন্ন করছেন বলেই বিধায়কদের জানিয়ে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী থাকছেন সেই নীতীশ কুমারই। শুধু রাজনৈতিক গাঁটছড়ার শর্তপালনের জন্য উপ মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্ব নিতে পারেন তেজস্বী যাদব। বিধানসভার বর্তমান বিজেপির স্পিকারের জায়গায় কংগ্রেসকে ওই পদটি দেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে বিজেপি বিরোধী জোট। বিকেল ৪টে নাগাদ মহাগাঁটবন্ধনের নেতারা রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সেকথা জানিয়ে দিতে চলেছেন।
আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, আপাতত নীতীশ কুমারের হাতেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব সঁপে দেওয়া হলেও এটাই চিরকালীন নয়। একদা সাপে-নেউলে সম্পর্কের দুই দলই ২০২৫ সালের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে একমত হয়েছে। ঠিক হয়েছে, আগামী ২০২৪ সাল পর্যন্ত নীতীশ কুমারই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালাবেন। কিন্তু, বিধানসভা ভোট অর্থাৎ ২০২৫-এর আগেই ক্ষমতা হস্তান্তর হবে তেজস্বীর কাছে। ২০২৫ সালের বিধানসভা ভোটে এই জোট লড়াই করবে তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বে।
আরও পড়ুন: Presidency University: প্রেসিডেন্সিতে গোলমাল, সাত সদস্যের কমিটি গড়ল কর্তৃপক্ষ
দুর্নীতি, রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়নের অভিযোগে এক নয় একাধিকবার লালুপ্রসাদ যাদব এবং তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র তেজস্বী যাদবের সঙ্গত্যাগ করার পর ফের আরজেডির আশীর্বাদ মাথায় নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী পদে থেকে যেতে চলেছেন নীতীশ কুমার। বিহারকে জঙ্গলরাজ থেকে আধুনিক নগরে পত্তনকারী মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের প্রতি সমর্থন দিচ্ছে আরজেডি, কংগ্রেস ও বাম দলগুলি। বিজেপি তলেতলে কোটি কোটি টাকার টোপ দিয়ে নীতীশের দল ভাঙানোর চেষ্টা করছিল, এই অভিযোগে জেডিইউ-বিজেপির মধ্যে মন কষাকষি শুরু হয়। সেটাকেই অস্ত্র হিসেবে প্রয়োগ করেন তেজস্বী। ধীরে ধীরে দুদলের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকে। তা স্পষ্ট হয়, দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠক এনডিএ শরিক নীতীশ কুমার বয়কট করায়।
এই অবস্থায় মঙ্গলবার বিকেল ৪টেয় রাজ্যপালের কাছে যাচ্ছেন নীতীশ-তেজস্বী। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি এখনকার মন্ত্রিসভা ভেঙে দিয়ে নতুন ক্যাবিনেট গঠন করতে পারেন। এটা আঁচ করেই বিজেপির মন্ত্রীদের আগেভাগেই ইস্তফা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই বিকেল ৫টার সময় তেজস্বী ও নীতীশের পৃথক আরও বৈঠক হবে বলে সূত্রের খবর। সেখানে দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আরজেডি সূত্র জানাচ্ছে, লালুপ্রসাদের বড় ছেলে তেজপ্রতাপকেও মন্ত্রিসভায় নেওয়া হবে।