নয়াদিল্লি: অপরাধ দমনে ব্রিটিশ আমলের আইনের খোলনলচে বদলে দেওয়া বিল আনলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নাবালিকা ধর্ষণ ও গণপিটুনির মামলায় দোষীর সর্বোচ্চ সাজা অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ডের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়াও দেশদ্রোহিতা বাদেও দেশের পক্ষে বিপজ্জনক তকমা দিয়ে নতুন অপরাধকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে, বিচ্ছিন্নতাবাদ, সশস্ত্র বিদ্রোহ, দেশের ঐক্য-সংহতিকে ধ্বংস করার চক্রান্ত, পৃথকীকরণের দাবি এবং সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রতি বিপজ্জনক প্রবণতা গর্হিত অপরাধ বলে গণ্য করা হয়েছে।
এদিন লোকসভায় এ সংক্রান্ত তিনটি বিল পেশ করে অমিত শাহ বলেন, ১৮৬০ সালের ঔপনিবেশিক আমলের আমলের ইন্ডিয়ান পেনাল কোড বদলে দিয়ে আমরা ভারতীয় ন্যায় সংহিতা নামে বিল পেশ করছি। এছাড়া সিআরপিসি বদলে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং সাক্ষ্যপ্রমাণ আইনের বদলে ভারতীয় সাক্ষ্য নামে আইনের বিল পেশ করেন মন্ত্রী। তিনটি বিলই পর্যালোচনার জন্য স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
দুটি জিএসটি বিল পাশ এবং সিআরপিসি, আইপিসি এবং সাক্ষ্যপ্রমাণ আইনের বিল পেশ করেই শেষ হল লোকসভার বাদল অধিবেশন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শেষদিনে লোকসভায় উপস্থিত থাকলেও রাজ্যসভায় তাঁকে হাজির হওয়ার জন্য বিরোধীরা দাবি জানাতে থাকে। সেই হল্লায় উচ্চকক্ষ দফায় দফায় মুলতুবি করতে হয়। রীতি অনুযায়ী লোকসভা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখার পর স্পিকারের আমন্ত্রণে একটি চা-চক্রের আয়োজন করা হয়ে থাকে। কংগ্রেসসহ বিরোধীরা স্পিকারের সেই চা-চক্র বয়কট করে এদিন। রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়্গের নেতৃত্বে বিরোধী দলনেতারা লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করে সংসদ চত্বরে থাকা বি আর আম্বেদকরের মূর্তি পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের হাতে ছিল ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি’ ও ‘গণতন্ত্র বিপদের মুখে’ লেখা প্ল্যাকার্ড।