কলকাতা: ভবানীপুরের দম্পতি খুনের তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, খুন করার পর মোবাইল ফোন নিয়ে ফেরার আততায়ীরা। সেই ফোনের শেষ টাওয়ার লোকেশন ডালহৌসি। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রহস্য। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ। সেখানে দুজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে দেখা গিয়েছে। তবে তাদের ছাতা মাথায় ছিল বলে মুখ দেখা যাচ্ছে না। উদ্ধার করা হয়েছে গুলির খোল। পুলিসের তরফে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে ওই দম্পতির সঙ্গে কারোর কোনও শত্রুতা ছিল কি না, সম্প্রতি তাঁর বাড়িতে কে বা কারা, কেন এসেছিল, এই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছে পুলিস। পুসিস সূত্রে খবর, অশোক শাহর গলার নলি কাটা হয়েছে। একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে দেহে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রোমোটিংয়ের কোনও চক্রান্ত এই খুনের পিছনে থাকতে পারে। এ বিষয়ে একজন ঠাকাদারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে দম্পতির তিন মেয়েকে।
সোমবার সন্ধ্যায় ভবানীপুরের হরিশ মুখার্জি রোডের একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় এক দম্পত্তির রক্তাক্ত দেহ। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত অশোক শাহ এবং স্ত্রীর নাম রশ্মিতা শাহ-র দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, তাঁদের খুন করা হয়েছে। ঘর থেকে কোনও কিছু চুরি গিয়েছি কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: Mahua Moitra: ‘দু’পয়সার সাংবাদিক’ মন্তব্যের জন্য মহুয়া মৈত্রকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ
প্রাথমিক তদন্ত শুরু করার পর পরিস্থিতি দেখে চুরির বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যদিও, পুলিস বা গোয়েন্দারা এখনই এ বিষয় কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন। শাহ-দম্পতির দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বুধবার হবে ময়নাতদন্ত। পুলিস কুকুর এনে এলাকা তল্লাশি করা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হয়েছে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, গুলি করে, চাকু দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়ে থাকতে পারে ভবানীপুরের গুজরাতি দম্পতিকে।