কলকাতা: ভবানীপুরের গুজরাতি দম্পতি খুনে জড়িতরা কি পূর্বপরিচিত কেউ? তদন্তে নেমে এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে পুলিসকে৷ সোমবার সন্ধ্যায় ভবানীপুরের বাড়ি থেকে ওই দম্পতির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়৷ তদন্ত শুরুর পর যে খটকা পুলিসের লেগেছে তা হল, হরিশ মুখার্জির মতো জনবহুল এলাকায় বাড়ির ভিতর দম্পতিকে খুন করে নিশ্চিন্তে চলে গেল আততায়ী, অথচ কেউ টের পেলেন না কেন? এমনিতেই এলাকাটিতে সর্বক্ষণ পুলিসের নজরদারি থাকে৷ খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ওই এলাকাতেই৷ তিনি ভোট দিতে যেখানে যান, সেই মিত্র ইনস্টিটিউশনের কয়েকটা বাড়ি পরই ওই দম্পতির বাড়ি৷ আততায়ী নিশ্চিতভাবে এটা জানত৷ তা সত্ত্বেও সে বিনা বাধায় বাড়িতে ঢুকল কী করে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে পুলিসের অনুমান, সম্ভবত পূর্বপরিচিত বলেই আততায়ী বাড়িতে ঢুকতে পেরেছে৷
দ্বিতীয় যে প্রশ্নের উত্তর তদন্তকারীরা খুঁজছেন সেটা হল, খুনের মোটিভ কী? সোমবার সন্ধ্যায় খুনের পর বাড়িতে ঢুকে তদন্তকারীরা দেখেন গোটা ঘর লন্ডভন্ড৷ কিন্তু ঘর থেকে মূল্যবান তেমন কিছুই খোয়া যায়নি৷ শুধু মৃত অশোক শাহ এবং রশ্মিতা শাহের আংটি, কিছু সোনার গয়না এবং তাদের মোবাইল ফোন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷ অর্থাৎ লুটপাটের উদ্দশ্যেই খুন সেটাই প্রমাণ করতে চেয়েছিল আততায়ী৷ কিন্তু লুটপাটই যদি উদ্দেশ্য ছিল তাহলে খুন করা কেন হল? ঘর লন্ডভন্ড কেন করা হল? তাহলে কি আততায়ী কিছু খুঁজতে এসেছিল? সেটা কী? তদন্তকে বিভ্রান্ত করতে আংটি চুরি, মোবাইল নিয়ে পালিয়েছে আততায়ী? এ সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত তদন্তকারীরা৷
হাইপ্রোফাইল এলাকাটি সিসিটিভিতে মোড়া৷ খুনীর নাগাল পেতে সেই সিসিটিভি ফুটেজই খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা৷ বাড়ির আশেপাশে যত সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে সব ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে৷ যে কোনও খুনের তদন্তে মোবাইল ফোন ঘেঁটে অনেক সূত্র পেলে৷ কিন্তু এখানে মৃতের মোবাইল ফোনটি নিয়ে পালিয়েছে আততায়ী৷ যদিও তদন্তকারীরা কললিস্ট ঘেঁটে অনেক তথ্য বের করে নিতে পারেন৷ সেটাই করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর৷
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ‘উত্তরবঙ্গের জন্য বহু কাজ করেছি, তবু ভোটে জয় বিজেপির’