কলকাতা: প্রথম দু’ঘণ্টায় ভোট পড়েছিল মাত্র ৭ শতাংশ। সকালে ৭ টায় ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হলেও সেভাবে ভোট পড়ছিল না ভবানীপুরের অধিকাংশ বুথেই। তার পর থেকেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা টুইট করে মানুষকে গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। ভোটারদের বুথে এসে ভোট দিতে মাইকিং করে আহ্বান জানান কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। বেলা বাড়তেই ভোটারদের লাইন বাড়তে থাকে হাইভোল্টেজ এই কেন্দ্রের বুথগুলিতে।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, ভবানীপুরে মোট পড়েছে ৫৭.০৯ শতাংশ। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল ৬১.৭৯ শতাংশ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এ বারের উপনির্বাচনে ভোটের হার খুব একটা মন্দ নয়। ২০১১ সালের উপনির্বাচনেও এই কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী ছিলেন। সে বার ভোট পড়েছিল মাত্র ৪৪ শতাংশ। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোট পড়েছিল ৬৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ভয় পাবেন না, ভোট দিতে আসুন….মাইকিং করে ভোটারদের আহ্বান বাহিনীর
বৃহস্পতিবার ভবানীপুরের উপনির্বাচনের সঙ্গে ভোট ছিল মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর কেন্দ্রে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুই প্রার্থী মারা যাওয়ায় ভোট স্থগিত রেখেছিল কমিশন। ওই দুই কেন্দ্রে শতকরা ভোট দানের হার ছাপিয়ে গিয়েছে ভবানীপুরকে। সামশেরগঞ্জ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৭৯.৯২ শতাংশ ও জঙ্গিপুরে ভোট পড়েছে ৭৭.৬৩ শতাংশ। এই দুই কেন্দ্রের একটিতে ত্রিমুখী এবং অন্যটিতে চর্তুমুখী লড়াই হয়েছে।