কেরল: ভাগ্য (Luck) তো আর সবার সাধ দেয় না। আর যখন দেয় ‘ছাপ্পার ফার কে’। কবে, কখন, কার ভাগ্যের চাকা খুলবে, তা কেউই বলতে পারে না। ঠিক এমনই একজনের ভাগ্যের চাকা ঘুরল কেরলে। তাও আবার বাঙালি। কেরলের (Kerala) এক বাঙালি শ্রমিকের ভাগ্যে জুটল ৭৫ লক্ষ টাকার লটারি (Bengal Man Won Lottery)। যা তাঁর নিজের কাছেও অবিশ্বাস্য। এত পরিমাণ টাকার লটারি জিতে (Lottery Won) দিশেহারা হয়ে ওই শ্রমিক নিরাপত্তার জন্য ছুটল পুলিশের কাছে।
পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা শেখ বাদেশ (Sheikh Badesh)। কেরলে কাজের সূত্রে গিয়েছেন। সেখানে গিয়েই কেটেছেন কেরল সরকারের স্ত্রী শক্তি লটারি। আর তাতেই বাজিমাত বাঙালি ওই স্রমিকের। ৭৫ লক্ষ টাকা জিতে অবাক তিনি। সে এখনও পর্যন্ত এই লটারি জেতার বিষয় বিশ্বাসই করতে পারছেন না। মঙ্গলবার তাঁর লটারি জেতার খবর পেতেই সুরক্ষার জন্য গভীর রাতেই মুভাত্তুপুঝা থানার (Muvattupuzha police station) দ্বারস্থ হন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এত পরিমাণ টাকার লটারি জিতে বাদেশ শুধুমাত্র সুরক্ষার জন্যই নয়, লটারি জেতার পরবর্তী পহক্ষেপ কী, তার জন্য পুলিশের সাহায্য নেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি আশঙ্কা করেছিলেন তাঁর এই লটারি যদি কেই তাঁর থেকে হাতিয়ে। সেই কতা ভেবেই পুলিশের কাছে যান বলে জানান বাদেশ। যদিও মুভাত্তুপুঝা থানার পুলিশ তাঁকে সমস্ত নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি লটারি জেতার পরবর্তী পহক্ষেপও করার জন্যও যথাযথ সাহায্য করেন।
এদিকে মজার ব্যাপার হল, বাদেশ এর আগেও লটারি কেটেছিলেন। কিন্তু তাঁর ভাগ্য সে সময় তাঁর সাধ দেয়নি। তাঁর কথায় আগে যখনই লটারির রেসাল্ট তাঁকে বারবারই হতাশা করেছে। কিন্তু সফল যে একদিন তাঁর আসবে, তা মনে করেই কেরলে গিয়েই লক্ষ্মীলাভ হল তাঁর। দীর্ঘ ব্যর্থতার পর ভাগ্যের চাকা খুলল তাঁর।
জানা গিয়েছে, লটারির টিকিট কেনার সময় বাদেশ এর্নাকুলামের চোট্টনিকারায় রাস্তা নির্মাণের কাজে যুক্ত ছিলেন। খুব বেশিদিন হয়নি তিনি কেরলে এসেছেন। তাই সেভাবে মালায়ালাম ভাষা রপ্ত করতে পারেননি এখনও। তাঁর বন্ধুর সাহায্যেই এত দূর এগিয়ে এসেছেন বলেও জানান তিনি। তিনি জানান, লটারি জিতে তিনি খুব আনন্দিত। এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না তিনি এত পরিমাণ টাকার লটারি জিতেছেন। এই টাকা নিয়ে বাংলায় নিজের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন বাদেশ। তাঁর বাড়ি সংস্কার এবং কৃষিকাজে এই টাকা ব্যয় করবেন বলেও জানান তিনি।