কলকাতা: রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ আচমকা বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের (Duttapukur) নারায়ণপুর। ভয়াবহ বিস্ফোরণে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে আস্ত দোতলা বাড়ি। ওই বাড়িতেই চলছিল বেআইনি বাজি তৈরির কাজ। বিস্ফোরণের (Blast) ভয়াবহ তীব্রতায় আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িও ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম আরও বেশ কয়েকজন। আহতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশুও। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি।
অধীর চৌধুরী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কদিন আগেই এগরার বিস্ফোরণের সময় বলেছিলেন, আর এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না। কিন্তু ঘটনা শেষ হচ্ছে না। বিস্ফোরণের শেষ নেই। বাংলা এখন বিস্ফোরণের বাংলা। তাই এগরার ঘটনার পর আমরা ভেবেছিলাম রাজ্য সরকার শিক্ষা নেবে। বিধি-নিষেধ আরোপ করবে। এভাবেই মানুষের মৃত্যু ঠেকানো যাবে। কিন্তু এই সরকার শুধুমাত্র ব্যর্থতার দলিল লিখছে। যে সরকার ব্যর্থতার দলিল লিখবে বলে ঠিক করে ফেলেছে, সেই সরকারের নেতৃত্বে এ বাংলায় মানুষের নিরাপত্তার সম্ভাবনা দিনের পর দিন কমে যাচ্ছে। এই বাংলায় মানুষের জীবন বড় সস্তার হয়ে যাচ্ছে। কারণ, এই বাংলার তৃণমূলের সরকার ব্যর্থতার দলিল লিখতে ব্যস্ত।
আরও পড়ুন:দত্তপুকুরে বিস্ফোরণে সামনে এল মৃত ৭ জনের পরিচয়
দত্তপুকুরের নীলগঞ্জে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় শাসকদল তৃণমূলকেই দায়ী করেছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, তৃণমূল তোলা নিয়ে, পুলিশ মাসোহারা নিয়ে তৃনমূল নেতা দায়িত্ব নিয়ে তৃনমূল নেতার বাড়িতে কাজ চলছিল। বাজি কারখানার আড়ালে জানি না কী ভয়ঙ্কর কাণ্ড হচ্ছিল। যার জেরে ওখানকার প্রায় একাধিক মানুষ মারা গিয়েছেন। তিনি আর বলেন, যে বাড়িতে কারখানা চলত, মুর্শিদাবাদের লোকজন এনে সেখানে কাজ করাত। এমন কী বিস্ফোরক ছিল ওখানে যে আশেপাশের একাধিক বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওখানে আমাদের বুথ সভাপতির মাও মারা গিয়েছেন। একাধিক মহিলা মারা গিয়েছেন।
নওশাদ আর বলেন, ওখানকার স্থানীয় তৃণমূল নেতা যিনি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। তিনি পলাতক। মালিককে খুঁজে বের করলেই সবটা জানা যাবে। এছাড়াও, কারামত আলি, আজিবর আলি এদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সত্য উদঘাটন হবে।তৃণমূলের নেতাদের কাজ গরিবদের দিয়ে অনৈতিক কাজ করানো। অঘটন ঘটে গেলে বিরোধীদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া।