বেলঘরিয়া: বেলঘরিয়ার যতীন দাস নগরে নেশামুক্তি কেন্দ্রে এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ধুন্ধুমার। ওই যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ পরিবারের। প্রতিবাদে নেশামুক্তি কেন্দ্রে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় মৃতের পরিবারের সদস্যরা। সংস্থার গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। পরিবারের আরও অভিযোগ, যে ডাক্তার এখানে চিকিৎসা করেন তিনি আদতে ভুয়ো ডাক্তার। নেশামুক্তি কেন্দ্রের নামে লোক ঠকানোর ব্যবসা খুলে বসেছে বলে দাবি পরিবারের। গন্ডগোলের জেরে নেশামুক্তি কেন্দ্র ঘিরে উত্তাল বেলঘরিয়া। পুলিসের সামনেই অবাধে চলতে থাকে ভাঙচুর। পুলিস সাহস করে এগিয়ে যেতেই পারেনি।
পুলিস জানায়, মৃতের নাম সুমন সর্দার (৩০)। বাগুইআটির কেষ্টপুরে মায়ের সঙ্গে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন সুমন। ২২ তারিখ সুমনকে ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে রেখে দিয়ে যায়। পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার সকালে নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে ফোন যায় তাদের কাছে। বলা হয়, সুমনের শরীর খুব খারাপ। তাঁরা দেখা করতে এলে বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় বেশ কিছুক্ষণ। ঘণ্টাখানেক পরে জানানো হয়, সুমনের মৃত্যু হয়েছে। সেই খবর শুনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। পাড়া থেকে প্রচুর লোকজন জড়ো হয়। ব্যাপক ভাঙচুর শুরু হয়।
নেশামুক্তি কেন্দ্রে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় মৃতের পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র।
মৃতের মামার দাবি, ভুয়ো ডাক্তার নিয়ে নেশামুক্তি কেন্দ্র খুলে বসেছে এরা। তিনি জানান, ডাক্তারের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি তার ঠিকঠাক উত্তর দিতে পারেননি। এমবিবিএস পড়া ডাক্তার এমবিবিএসের পুরো নাম বলতে পারছেন না।
মৃত ছেলেকে জড়িয়ে কাঁদছেন মা। নিজস্ব চিত্র।
পরিবার সূত্রে খবর, ছেলে মাঝেমধ্যেই ভুলভাল কথা বলত। সেই কারণেই মাত্র চারদিন আগে ওই রিহ্যাব সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। চারদিনের মধ্যেই ওই যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ আনছে পরিবার। মারের চোটে ছেলের গায়ে রক্ত জমাট হয়ে রয়েছে বলেও অভিযোগ। দোষীদের শাস্তির দাবিতে জারি রয়েছে বিক্ষোভ প্রতিবাদ।
ওই সংস্থার গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেন স্থানীয়রা। নিজস্ব চিত্র।