নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আমন্ত্রণপত্রে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ লেখা নিয়ে বিতর্ক শুরুর অনেক আগেই ইন্ডিয়ার বদলে ‘ভারত’ লেখা চলছে। গত অগাস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে জোহানেসবার্গে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে গিয়েছিলেন গ্রিসে। ২২-২৫ অগাস্টে দুই দেশ সফরের জন্য পাঠানো সরকারি বিজ্ঞপ্তিতেও মোদিকে ‘প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত’ লেখা হয়েছিল। এর পাশাপাশি জি ২০ সম্মেলনের আগে ভারতীয় আধিকারিকদের যে পরিচয়পত্র করা হয়েছে, তাতেও রয়েছে ‘ভারত অফিসিয়াল’ লেখা। এ ধরনের আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে এর আগে লেখা থাকত ইন্ডিয়ান অফিসিয়াল।
উল্লেখ্য, ৯-১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে বসতে চলেছে ভারতের পৌরোহিত্যে জি ২০ সম্মেলন। তার আগে ২০-তম আসিয়ান ইন্ডিয়া সম্মেলন এবং পূর্ব এশিয়া সম্মেলনে যোগ দিতে মোদি ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় যাচ্ছেন। আজ এবং আগামিকাল সম্মেলন সেরে ফিরেই ভারতে আসা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত থাকবেন মোদি। সেখানেও সরকার ঘোষিত প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিতে লেখা হয়েছে ‘প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত’।
আরও পড়ুন: তারকাখচিত জি২০ সম্মেলনের সময় রাহুল চললেন ইউরোপ
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের আগে এবার ইন্ডিয়া’ নাম পরিবর্তন করে দেশের নাম ভারত করতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার। বিরোধীদের এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে তুমুল বিতর্ক ঘনিয়েছে। জি ২০ সম্মেলন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির তরফে যে নৈশভোজের আমন্ত্রণ গিয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে, তাতে ইংরেজিতে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’র (President of India) পরিবর্তে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ (President of Bharat) লেখা হয়েছে। এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্রের সরকার সংবিধান অমান্য করে দেশের নামও পরিবর্তন করে দিচ্ছে।
২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতেই বিরোধী দলগুলি এক ছাতার তলায় এসেছে। বিজেপি বিরোধী জোটের নাম ইন্ডিয়া (I.N.D.I.A)। জোটের এই নামকরণের পর রাজনৈতিক তরজা কম হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এ নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে। এমনকী বলতে শোনা গিয়েছিল, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের নামেও ইন্ডিয়া রয়েছে। লোকসভা ভোটে ইন্ডিয়া (I.N.D.I.A) জোট মোদি সরকারকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে চলেছে বলে বিশ্বাস বিরোধীদের। বিরোধীদের পাল্টা চাপে রাখতে তড়িঘড়ি ইন্ডিয়ার পরিবর্তে ভারত নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে হিন্দুত্ববাদীরা। সেই ইঙ্গিত মিলল রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে জারি করা জি ২০ (G20) সম্মেলনে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্রে।