উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রিকোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিল লিওনেল মেসির প্যারিস সাঁ জামঁ। বুধবার রাতে মিউনিখের অ্যালিয়েঞ্জ এরিনায় তাদের ২-০ গোলে হারিয়ে দিল বায়ার্ন মিউনিখ। এবং চলে গেল কোয়ার্টার ফাইনালে। প্রথম লেগে মেসিদের মাঠে গিয়ে তাদের ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়ে এসেছিল বায়ার্ন। এরপর নিজেদের মাঠে ২-০ গোলে জেতার পর বায়ার্ন সব মিলিয়ে ৩-০ গোলে জিতে চলে গেল কোয়ার্টার ফাইনালে। গোল করলেন ই চৌপো মোটিং এবং সার্জ নাব্রি। গত রাতের অন্য ম্যাচে নিজেদের মাঠে টটেনহাম হসপার হারাতে পারল না এসি মিলানকে। ম্যাচ রয়ে গেল গোলশূণ্য। প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ১-০ গোলে জিতেছিল এসি মিলান। তাই তারাই চলে গেল কোয়ার্টার ফাইনালে।
তবে টটেনহামের বিদায় নয়, ফুটবল মহলের সব দৃষ্টি ছিল মেসিদের ম্যাচের উপর। গত বছর ১৮ ডিসেম্বর মেসির আর্জেন্তিনা বিশ্ব কাপ জিতেছে। তাই তাঁর ভক্তরা প্রত্যাশা করেছিল এবার মেসি হয়তো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ট্রফিটা হাতে নেবেন। শুধু তো মেসি নন, প্যারিস সাঁ জামঁ দলে আছেন কিলিয়ান এমবাপে, নেমারের মতো বিশ্বের নামী তারকারা। তবে নেমার মিউনিখে খেলেননি। তাঁর পায়ে অপারেশন হয়েছে, মাঠে ফিরতে মাস চারেক লাগবে। তা সত্ত্বেও মেসিদের দলের শক্তি কম ছিল না। মেসি নিজেও জানপ্রাণ লড়িয়ে দিয়েছিলেন ম্যাচটা জেতার জন্য। এমবাপেও খুব চেষ্টা করেছেন গোল করার। কিন্তু বায়ার্ন ডিফেন্স তাদের গোলের মুখ দেখতে দেয়নি। গোল শূণ্য প্রথমার্দ্ধের পর ৬১ মিনিটে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন তাদের ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড ই চৌপো মেটিং। তাঁর জন্ম জার্মানিতে। কিন্তু তিনি খেলেন ক্যামেরুনের জাতীয় দলে। ম্যাচ প্রায় শেষ হওয়ার মুখে ৮৯ মিনিটে বায়ার্নের জয় নিশ্চিত করেন সার্জ নাব্রি। জার্মান জাতীয় দলের মিডফিল্ডার নাব্রির গোলই মেসিদের জয়ের আশায় ছাই ফেলে দেয়। ২০১৫ সালে বার্সেলোনার হয়ে শেষ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন মেসি। তারপর আট মরসুম হয়ে গেল ইউরোপের এক নম্বর ট্রফিটা তাঁর অধরা। আর এমবাপে তো কোনও দিন এই ট্রফিটা পাননি। প্রতি বছরই বড় অর্থ ব্যয় করে দলে গড়ে প্যারিস সাঁ জামঁ। কিন্তু এবারও তাদের ইউরোপ সেরা হওয়া হল না।