ভিয়েনা: মা (Mother) , শিশুর (Child) কাছে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মানুষ। মায়ের আলোয় শিশু বেড়ে ওঠে। মায়ের নিশ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে সে। বলা হয়, কুসন্তান যদিও বা হয় কুমাতা কখনও নয়। কিন্তু, সেই মায়ের বিরুদ্ধে যদি অমানবিক নিষ্ঠুরতার অভিযোগ ওঠে? ঠিক, এক মায়ের বিরুদ্ধে জঘন্যতম আচরণের অভিযোগ উঠল। নাবালক ছেলেকে শাস্তি দিতে কুকুরের (Dog) খাঁচায় (Cage) আটকে রাখল মা। সেই ঘটনাতে মায়ের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনল পুলিশ। অস্ট্রিয়ার এক মহিলার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছে।
৩২ বছরের ওই মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ, না খেতে দিয়ে ছোট্ট কুকুরের খাঁচার মধ্যে ছেলেকে বন্দি করে রেখেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, অত্যন্ত কম তাপমাত্রার (Temperature) মধ্যে ছেলেকে রেখে দিয়েছিলেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অস্ট্রিয়াতে (Austria) শোরগোল পড়েছে। রাজধানী ভিয়েনার (Vienna) উত্তর পশ্চিমে ক্রেম শহরের ঘটনা। ওই নাবালককে কোমা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এটি গত ২২ নভেম্বরের ঘটনা। তখন থেকে ওই মহিলাকে পুলিশ বন্দি করে রেখেছে। শিশুটি অপুষ্টিতে ভুগছিল। উদ্ধার করার সময় তার শরীরে তাপমাত্রা অত্যন্ত কম ছিল। নিম্ন অস্ট্রিয়া প্রদেশের পুলিশের মুখপাত্র জোহান বমসচ্ল্যাগের (Johann Baumschlager) বলেন, নাবালকটি মৃত্যুর কাছাকাছি ছিল বলা যায়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই দিনই। মনে করা হচ্ছে নাবালিকটির মা তার গায়ে ঠান্ডা জল ঢেলে রেখেছিল। তাপমাত্রাও কমিয়ে রাখা হয়েছিল। নাবালকটি এখন শারীরিকভাবে সুস্থ। কিন্তু মানসিকভাবে সে এখনও বিপর্যস্ত। মে মাসে ওই মহিলার জামিনের আবেদন খারিজ করেছে আদালত। আর কয়েক মাসের মধ্যে এই মামলার চূড়ান্ত বিচার হওয়ার কথা।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | ২০ জেলায় বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ কমিশনের
১২ বছর বয়সের নারকীয় অত্যাচারের ঘটনায় অস্ট্রিয়া জুড়ে শোরগোল পড়েছে। একরত্তি ছেলেকে খাঁচায় বন্দি করে কীভাবে দিনের পর দিন নারকীয় অত্যাচার চালাল মা ভেবে কূল পাচ্ছেন না কেউই। অস্ট্রিয়ার সংবাদমাধ্যম ডেইলি কুরিয়ার এই ঘটনার প্রতিবেদনে আপাতত, ছেলেটির অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। তবে ঠিক কোথায় এই ঘটনাটি ঘটেছে তা জানা যায়নি। পুলিশ সূত্রের দাবি, কোনও এক বচসা জেরে ছেলেকে ঘুষি মারেন তার মা। এর পর আঘাতের চিকিৎসা না করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কুকুরের খাঁচায় আটকে রেখে দেন।