বিশাখাপত্তনম: ভারতের (India) উপর স্রেফ বুলডোজার চালাল অস্ট্রেলিয়া (Australia)। ১১৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা মাত্র ১১ ওভারে পূরণ করল তারা। ভারতীয় বোলাররা একটা উইকেটও নিতে পারলেন না। অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার রীতিমতো সংহার চালালেন। ট্রাভিস হেড (Travis Head) করলেন ৩০ বলে ৫১। তাঁর ইনিংসে ছিল ১০টি চার। মিচেল মার্শ (Mitchell Marsh) করলেন ৩৬ বলে ৬৬। ছ’টি চারের সঙ্গে তাঁর ইনিংসে ছিল ছ’টি বিশাল ছক্কা। যে পিচে ভারতীয় ব্যাটাররা ১৫০ করতে পারলেন না সেখানে অজি ওপেনাররা কীভাবে এই কীর্তি করলেন তা চিরকাল রহস্য হয়েই থাকবে।
দাগ কাটতে পারেননি কোনও বোলার। মহম্মদ শামি (Mohammad Shami) থেকে অক্ষর প্যাটেল (Axar Patel), মহম্মদ সিরাজ (Mohammad Siraj) থেকে কুলদীপ যাদব (Kuldeep Yadav), প্রত্যেকেই মার্শ-হেড ঝড়ে উড়ে গেলেন। হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya) এক ওভার বল করে দিলেন ১৮ রান। তবে ম্যাচ বোলার নয়, ব্যাটারদের ব্যর্থতায় হেরেছে ভারত।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee-Mohun Bagan | সোমবার মোহনবাগান তাঁবুতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
অস্ট্রেলিয়ার ১০ উইকেটে জয়ের সোপান তৈরি করে দিয়েছিলেন আর এক মিচেল, মিচেল স্টার্ক (Mitchell Stark)। তিনি যেদিন সুইং আদায় করতে পারতে পারেন সেদিন সামলানো যে কী কঠিন তা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন রোহিত শর্মারা (Rohit Sharma)। অজি পেসারের প্রথম শিকার শুভমান গিল (Shubman Gill)। আগের দিনের মতোই পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তিনি। এরপর স্টার্কের বেরিয়ে যাওয়া বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন রোহিত। পরের বলেই ঠিক আগের দিনের মতো এলবিডব্লু হলেন সূর্যকুমার যাদব (Surya Kumar Yadav)। এলবিডব্লু হয়ে ফিরলেন আগের ম্যাচের নায়ক কে এল রাহুলও। এদিন ৫৩ রানে পাঁচ উইকেট নিলেন স্টার্ক।
এদিন অবশ্য অন্যান্য পেসারাও সফল হয়েছেন। হার্দিক পান্ডিয়াকে (Hardik Pandya) ফেরালেন শন অ্যাবট, তাঁর ঝুলিতে তিন উইকেট। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ কৃতিত্ব স্টিভ স্মিথের (Steve Smith)। ডান দিকে শূন্যে ঝাঁপিয়ে একহাতে ক্যাচ নিলেন তিনি। আর এক পেসার নাথান এলিসও নিলেন জোড়া উইকেট। তার মধ্যে একটি বিরাট কোহলির।
মুম্বইয়ের (Mumbai) পর বিশাখাপত্তনমেও (Vishakhapatnam) পেসারদের সাহায্য করল পিচ, যা কিছুটা আশ্চর্যের। শুধ সুইং নয়, বাউন্সও ছিল অনেকটা। অজি উইকেটকিপার বল ধরলেন কোমর থেকে বুক উচ্চতায়। টেস্ট সিরিজে (Test Series) প্রথম তিন ম্যাচে ঘূর্ণি পিচ এবং শেষ ম্যাচে পাটা পিচ দেখার পর কে ভেবেছিল, একদিনের সিরিজে এমন পেস সহায়ক পিচ হবে? অবশ্য অস্ট্রেলিয়া দুই ওপেনার ওই পেস সহায়ক পিচকেই পাটা প্রমাণ করলেন।