আগরতলা: শনিবার আগরতলায়(Agartala) তৃণমূলের (TMC) সভা ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় ৷ পুলিসি(Police) নিষ্ক্রিয়াতার অভিযোগ সহ রাজ্যের শাসকদল বিজেপি (BJP) সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে সরব হয়েছেন বাংলার শাসক দলের প্রতিনিধিরা৷ বিজেপির গুন্ডা বাহিনীর দ্বারা আগরতলা পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের জোড়াফুল প্রার্থী সহ তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয় আক্রান্তু হয়েছেন বলে অভিযোগ৷ তৃণমূলের সভা মঞ্চ ভেঙে দেওয়া, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ারও অভিযোগ তোলা হয়৷ তাই, তৃণমূল প্রতিনিধিরা আগরতলা থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, আগরতলার ইন্দ্রনগর উত্তপ্ত তৃণমূল (TMC)-বিজেপির (BJP) সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মঞ্চে তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) বক্তব্য চলাকালীন বিজেপির মিছিল হয়। সেই মিছিল মঞ্চের সামনে পৌঁছতেই দু’দলের কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সিআরপিএফ (CRPF) এবং বিশাল পুলিস বাহিনী।
Faced a violent mob of @BJP4India in #Agartala, abusing & Pelting Stones at me•Got down frm the car to confront them & cowards fled😊 It's a joke/shame that BJP preaches against Political Violence given the filth I see them resort to in Tripura @AITCofficial @abhishekaitc
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) November 20, 2021
এ দিন রামনগর ফাঁড়ি এলাকায় তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয়কেও আক্রান্ত হতে হয়েছে৷ বিজেপি কর্মীরা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। দেওয়া হয়েছে স্লোগানও। শেষপর্যন্ত ঘটনাস্থল ছাড়তে বাধ্য হন বাবুল সুপ্রিয়।
My car ws never safe cuz I always got down&confronted whenever I faced resistance•Remember, who won @BJP4India the ONLY seat in 2014 & wwon it back again in 2019?Who had the spine to desert your party (of backstabbers) & leave the MP seat MIDWAY?Let me c u how u win Asansol back https://t.co/JaCJ5GItSb
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) November 20, 2021
আরও পড়ুন-করোনায় মৃত পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দেবে সরকার
দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে ফিরহাদ হাকিমকে বলতে শোনা যায়, “আমাদের ছেলেদের মেরে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিচ্ছে, পাঁচ মিনিট লাগে, বিপ্লব দেব কুয়োর ব্যাগ, ভাবে কুয়োটাই পৃথিবী। তুই এখানে আমায় একটা মারলে, আমি ওখানে পাঁচটা মারবো। কিন্তু মমতা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। মানুষের সমর্থন শেষ কথা বলবে, গুন্ডারাজ শেষ কথা বলবে না।”
ত্রিপুরা থেকে কলকাতায় ফিরে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, মঞ্চের আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়৷ মাইকের তার ছিঁড়ে দেওয়া হয়। পাশে একটা ডিজে এনে বাজানো হলো। হামলার সময় পুলিস বাধা দিতে গেলে পুলিসকেও ধাক্কা মারে বিজেপির লোকজন৷ তার মধ্যেই বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থা করা হয়।