নয়াদিল্লি: এ এবং আই-এই দুটি অক্ষর। যাকে ঘিরে ভবিষ্যত নিয়ে নানা জল্পনা। অনেকের কাছে কাজ হারানোর আশঙ্কা। অনেকের কাছে তা নতুন উদ্ভাবনের আশা। আগামী দিনে এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সামগ্রিকভাবে কতটা প্রভাব ফেলবে কাজের দুনিয়ায়? কেউ বলছেন কাজ হারাবেন অনেকে। কেউ বলছেন বাজারে কম্পিউটার আসার মতো হবে। এতে চিন্তার কিছু নেই। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের একটি প্ল্যাটফর্ম হল চ্যাটজিপিটি। এই চ্যাটজিপিটি ও এআই টুলস (ChatGPT and AI tools) এর জেরে ভবিষ্যতে কাজ হারাবেন বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই। রিপোর্ট উঠে এসেছে বিভিন্ন সমীক্ষায়। ইতিমধ্যে হাইস্কুল অ্যাসাইন্টমেন্ট, আইনি নথি, কম্পিউটার কোডে (Computer Code) আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহার হচ্ছে। এর পরিধি বিশাল। তবে এখনও পরিষ্কার নয় ঠিক কী কাজ করতে পারবে এটি। কোন ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে? শুধু যন্ত্রের মতো কাজ করবে? না কি কোনও সৃষ্টিশীল কাজ করতে পারবে?
চ্যাটজিপিটি সমগ্র কম্পিউটার কোড থেকে প্রোগ্রাম অ্যাপ্লিকেশন লিখতে পারে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কোডের ভুল ধরতে পারে। সাধারণ ইংরেজি থেকে নতুন ধারণা তৈরি করতে পারে। চ্যাটজিপিটি বিভিন্ন কাজের জন্য কনটেন্ট রাইটিং করতে পারে। এই সাধারণ কাজগুলি অনায়াসেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের দ্বারা চ্যাটজিপিটি করতে পারে। অ্যাডভার্টাইজিংয়ের কপি করা, প্রেস বিবৃতি তৈরি করা, মানব সম্পদের চিঠি লেখার কাজগুলিও করতে পারে।
এখন প্রশ্ন, ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রিতে এর কতটা ব্যবহার হতে পারে?
আরও পড়ুন: Mohan Bhagwat: ঈশ্বর নন, ব্রাহ্মণরাই জাতপাতের বিভেদ সৃষ্টি করেছে: মোহন ভাগবত
এক বিশেষজ্ঞের কথায়, ডেটা থেকে ক্রিয়েটিভ কাজও করতে পারে চ্যাটজিপিটি। চ্যাটজিপিটি (constitutional law) বা সাংবিধানিক আইনের উপর প্রবন্ধও লিখে দেখিয়ে দিয়েছে। একজন তাঁর অভিজ্ঞতায় বলেছেন, মহাত্মা গান্ধীকে ফাদার অফ নেশন কে প্রথম বলেছিলেন? এই প্রশ্ন করায় সঠিক উত্তর দেয় চ্যাটজিপিটি। আইনস্টাইন কে ছিলেন তার উত্তরও সঠিকভাবে পাওয়া গিয়েছে। সাধারণ অঙ্ক কষা, প্রবন্ধ লিখে দেখিয়ে দিয়েছে চ্যাটজিপিটি।
চ্যাটজিপিটি হচ্ছে একটি চ্যাটবট যা ওপেন এআই থেকে হয়েছিল। অনেকে চ্যাটজিপিটিকে ভবিষ্যতের ক্লাসরুম বলছেন।