অঙ্গুল (ওড়িশা): মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) মদতে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) ঔদ্ধত্য শিখরে পৌঁছে গিয়েছে। সোমবার ঠিক এই ভাষাতেই তৃণমূলের সমালোচনা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)।
রাজ্যসভার (Rajya Sabha) চেয়ারম্যান তথা দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে (Vice-President Jagdeep Dhankhar) নকল (Mimicry Row) করার বিষয়ে তৃণমূল এমপি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) তাঁকে জেলে পোরার হুমকি দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে একথা বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মদত না থাকলে এটা হয় না। তাঁর মদতেই তৃণমূল কংগ্রেসের ঔদ্ধত্য চরমে উঠে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: কুয়াশা মাখা বড়দিনে ফুরফুরে মেজাজে বঙ্গবাসী
প্রসঙ্গত, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে ফের নকল করে ব্যঙ্গ করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, একবার নয়, হাজারবার নকল করবেন বলেও দাবি কল্যাণের। নকল করাকে ‘শৈল্পিক’ তকমা দিয়ে কল্যাণ বলেন, হাজারবার করব, এটা করা আমার মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে।
নিজের সংসদীয় কেন্দ্র শ্রীরামপুরে রবিবার তৃণমূলের এক প্রতিবাদসভায় ভাষণ দিতে উঠে কল্যাণ বলেন, আমি নকল করে যাব। এটা শিল্পের পর্যায়ে পড়ে। যদি প্রয়োজন হয়, হাজারবার করব। আমার মতপ্রকাশের অধিকার মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। আপনারা আমায় জেলে পুরতে পারেন। আমি পিছু হটব না।
এ প্রসঙ্গে প্রধান বলেন, রুচিহীনতার জন্য কাউকে জেলে ভরা হয় না। আসলে তৃণমূলের অহংকার একেবার শেষ সীমায় পৌঁছে গিয়েছে। যদি তাঁরা একটি সাংবিধানিক পদকে, একজন কৃষক সন্তানকে, যিনি পিছড়েবর্গের, তাঁকে উপহাস করেন, তাহলে তাঁকে জেলে ভরা যায় না। কিন্তু জনতা কখনও তাঁকে ক্ষমা করে না। আসলে নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা মেনে নিতে পারছে না এই অহঙ্কারী ইন্ডিয়া জোট।
এদিনই বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ তৃণমূল সাংসদ কল্যাণের নিন্দায় বলেন, উনি একজন প্রবীণ আইনজীবী, নেতা এবং এমপি। সংসদীয় রীতিনীতি ওনার ভালো করেই জানা উচিত। উনি এরকমটা করে মমতা, রাহুল গান্ধী এবং অভিষেককে মজা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে আমার মনে হয়। আমি নিশ্চিত এটা করে উনিও বেশ মজা পেয়েছেন।
অন্য খবর দেখুন