বীরভূম: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondol) গ্রেফতারির পর এই প্রথম শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । এর আগে শেষবার বীরভূম (Birbhum) গিয়েছিলেন বগটুই কাণ্ডের সময় । সেসময়ও তাঁর সঙ্গী ছিলেন অনুব্রত। আজ বিকেলেই সোনাঝুরি সরকারডাঙা মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার অবতরণ। প্রতিবারের মতো এবারও দলনেত্রীর ছবি, ফেস্টুনে সেজে উঠেছে গোটা জেলা। শহর জুড়ে সাজানো সেই পোস্টার ব্যানারে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দেখা যাচ্ছে সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek banerjee), রয়েছে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), জেলার দুই বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহা ও বিকাশ রায় চৌধুরীর (Bikash Roy Chowdhory) ছবিও। কিন্তু সেই পোস্টারের কোথাও নেই বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রতর ছবি। তবে কি এবার অনুব্রতকে ছেঁটে ফেলতে চাইছে তৃণমূল? ক্রমশ জোরালো হচ্ছে সেই প্রশ্ন।
আজ বিকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ সরকারডাঙা হেলিপ্যাডে নামবেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর কঙ্কালীতলা মন্দিরে পুজো দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিনেই দেখা করার কথা নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের সঙ্গেও । সেই সফরে মুখ্যমন্ত্রী যে সড়ক দিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দেবেন সেই সমস্ত রাস্তায় তৈরি করা হয়েছে বড় তোরণ। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই ফেস্টুন ব্যানার এমনকি গেটেও অনুব্রত মণ্ডলের ছবি কোনও নেই। যা একেবারে ব্যতিক্রম! যে কেষ্টর কথায় একসময় বীরভূমে গাছের পাতা নড়ত, সেই কেষ্টর প্রভাবশালী তকমা মুছে ফেলতেই কি দলের এই ব্যবস্থা? নাকি রয়েছে কোনও অজ্ঞাত আদেশ। বাড়ছে জল্পনা।
আরও পড়ুনKuntal Ghosh and Santanu Bandyopadhyay: ফের কুন্তল ঘনিষ্ঠ শান্তনুকে তলব ইডির
যদিও বিরোধীরা একাধিকবার অভিযোগ এনেছিল যে, অনুব্রত জেলে থাকলেও সেখান থেকেই জেলার সংগঠন পরিচালনা করছেন। এমনকি বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়ের গলাতেও শোনা গিয়েছিল একই সুর । কিন্তু সম্প্রতি বীরভূমের পোস্টার, কাটআউট, ফেস্টুন দেখে বিষয়টি বেশ খানিকটা অন্যরকম বলেই মনে করা হচ্ছে ।
এর আগে বীরভূম জেলার নেতাদের নিয়ে পাঁচসদস্যের একটি কমিটি তৈরি হয়েছিল। সংগঠনের দায়িত্ব ছিল তাঁদের উপরেই। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যখন জেলা সফরে আসছেন তখন ব্যানারে মাত্র দুজনের মুখ দেখা যাচ্ছে। যেখানে মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া উধাও ‘বাংলার বাঘের’ মুখ।